Header Border

ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল) ২৪.৯৬°সে

অক্টোবর মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার ২১৬ নারী ও শিশু

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ  সারাদেশে অক্টোবর মাসে ২১৬ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি। গত মাসে শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০১ কন্যাশিশু নির্যাতনসহ ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।

মহিলা পরিষদ জানায়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, অক্টোবর মাসে মোট ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ৪৪ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ মোট ২১৬ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১০১ শিশু ধর্ষণের শিকার এবং ২৫ শিশু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ১৬ শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৩ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৫ জন, যারমধ্যে ৩ শিশু রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১২ শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ শিশু এবং এসিডদগ্ধের কারণে মারা গেছে ১ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন। যারমধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১০ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ জন। এরমধ্যে ৮ শিশু। পাচারের শিকার হয়েছে ৪ জন। যারমধ্যে এক শিশু পাচারের শিকার হয়েছে। যৌনপল্লিতে ৩ জনকে বিক্রি করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ১১ শিশুসহ ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ শিশুসহ ২১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৫ শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ৬ জন। ৮ শিশুসহ ৪৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৬টি। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশুসহ ৮ জন।

১৩ বছরের শিশু ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ের পিদিম থিয়েটারে ১৩ বছরের যে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তে সেই ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে সময় সংবাদ লাইভকে  জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মমিন বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মামলা নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। মামলার তদন্তের কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ভিকটমের কথার সঙ্গে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আদাবর থানা পুলিশের এসআই আরও বলেন, ভিকটিম যেহেতু ছোট শিশু। খুবই সর্তকতার সঙ্গে আমরা মামলাটির তদন্ত করছি। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব।

ভিকটিমের বড় ভাই জানান, মামলা আমরা চালিয়ে যাব। আমরা পারিবারিকভাবে গণমাধ্যমে কথা বলব কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে আলাপ করছি। বিষয়টি এতোটা ছড়িয়ে যাবে আমরা বুঝিনি। ভিকটিমের বড় বোন জানান, শিশুটি শারীরিকভাবে এখন কিছুটা সুস্থ।

এর আগে, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় পিদিম থিয়েটারের ভিতরেই ১৩ বছর বসয়ী এক শিশু থিয়েটার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থিয়েটার প্রধানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদাবর থানা পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- পিদিম থিয়েটারের প্রধান ফজলুল হক ও নির্দেশক আক্তার হোসেন। আদাবর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত পিদিম থিয়েটারে যায় ওই শিশু। এ সময় কৌশলে একটি রুমে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে ফজলুল হক। পরে আক্তার হোসেনও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই দিন রাতেই তাকে বোন বাদী হয়ে আদাবর থাকায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ থিয়েটার প্রধান ফজলুল হক ও নির্দেশক আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

রাজধানীতে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মী রিমান্ডে
পান থেকে চুন খসলেই অস্বাভাবিক শাস্তি দিচ্ছে সরকার
রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপন স্থগিতের আবেদন চেম্বার আদালতেও খারিজ।
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে’
তিনশ ছুঁইছুঁই ব্রয়লার মুরগি।

আরও খবর