Header Border

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল) ২৪.৯৬°সে

করোনা সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি, অবশেষে লকডাউনে যাচ্ছে সরকার

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট : দেশে গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়ায় সরকার এবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সবশেষ গতকাল শনিবার এই সংখ্যা ছিল রেকর্ড সংখ্যক। এদিন করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৫৮ জন মারাও গেছেন।
করোনার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকার আগামিকাল সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামিকাল সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে সরকার লকডাউন ঘোষণা করছে। শিল্প কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানাবে।
ওবায়দুল কাদের গতকাল সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। এদিকে এক ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালে শুধু জরুরি সেবা দেয় সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে, যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিফটিং ডিউটির মাধমে তারা কলকারখানায় কাজ করতে পারে।’
এদিকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরা জরুরি কর্তব্য বলে মনে করে সেগুলো পালন করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। নিজেদের সুরক্ষায় সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই এখন মূল কাজ।
লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, মানুষের চলাফেরা যাতে কমাতে পারি সেজন্য আমরা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিচ্ছি। আমাদের জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে।
লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকরা কাজ করেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে তো আবার গত বছরের মতো শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার ঢল শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে।
অনেক লোক বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আটকে থাকতে পারে, তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে একদিন পর লকডাউন দেয়া হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব সেখানে তা স্পষ্ট করে বলা হবে। এখনই এ বিষয়ে বলছি না। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের চলাচল যাতে একেবারে সীমিত করে ফেলা যায় আমরা সেই পদক্ষেপ নেব। কেউ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবে না।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের ‘কর্তৃত্ব’ থাকছে না, হাইকোর্টের রায়
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য : শেখ হাসিনা
গুড়া-২: শিবগঞ্জে সাবধানী তিন দল
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারি: ট্রাম্প
সৌদি আরবে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩
পড়াশোনার পাশাপাশি সবজি চাষে দুই যুবকের সাফল্য

আরও খবর