ডেইলি নিউজ রিপোর্ট॥ ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, তাদের দেশ-কাল-ধর্ম নেই। তাদের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও কোনো ধরনের অস্বাভাবিক কিছু দেখলে তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রীলংকায় বোমা হামলার ঘটনায় নাতি হারিয়ে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলংকায় সেদিনের ঘটনার পর মানুষের মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের আট বছর বয়সী সন্তান জায়ান চৌধুরী- সেও মৃত্যুবরণ করেছে। শেখ সেলিমের মেয়ে সোনিয়ার স্বামী সেখানে আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি জায়ানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, সেখানে শুধু জায়ান চৌধুরীই না, প্রায় ৪০ জনের মতো শিশুসহ সাড়ে ৩০০ মানুষ মারা গেছে। এ ধরনের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, বোমা হামলার নিন্দা জানাবার ভাষা নাই। আমি তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা এর মধ্য দিয়ে কী অর্জন করছে, জানি না। এই ছোট নিষ্পাপ শিশু, সে তো কোনো অপরাধ করেনি। এর কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সরাসরি গুলিতে অনেকগুলো মানুষকে হত্যা করা হল, সেখানেও নারী ছিল, শিশু ছিল, আমাদের ক্রিকেট টিমও ছিল। খুব অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি।
ফেনীর নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবসৃষ্ট সন্ত্রাস। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হল। মেয়েটা একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এ ধরনের অমানবিক ঘটনাগুলো মানবজাতির জন্য অকল্যাণকর।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এরকম বোমা হামলা, জঙ্গি হামলা কঠোর হস্তে দমন করেছি। আমি দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলব। যদি কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান, সঙ্গে সঙ্গে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে জানান। আমরা চাই না পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা কোথাও ঘটুক। যারা সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ করে তাদের কোনো ধর্ম নাই, দেশ-কাল-পাত্র নাই। জঙ্গি জঙ্গিই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম পবিত্র ধর্ম। সেই ধর্মকেই সকল মানবজাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে দিচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে। তারপরও কিছু লোক ধর্মীয় উন্মাদনায় মানুষকে আঘাত করছে, মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটা মানবজাতির জন্য বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জায়ান তো ছোট্ট বাচ্চা, মাত্র আট বছর বয়স। আজ তার দাফন হল। তার বাবাকে জানতে দেয়া হয়নি যে জায়ান মারা গেছে। জায়ানের বাবা বারবার ছেলেকে খুঁজছে। দেশবাসীর কাছে আহ্বান- সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত হবেন না।
প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরাই নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পূর্বে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রকাশ পায়। এসব তথ্য থেকে দেখা যায়, পরোক্ষভাবে দেশি-বিদেশি কিছু লোক ও সংস্থা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অন্য পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয় সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।
আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। এখনও যেসব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে এবং আশ্রয় গ্রহণ করে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, পলাতক আসামি নূর চৌধুরী কীভাবে কানাডায় বসবাস করছেন, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে কানাডা সরকারকে বাধ্য করতে ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিসের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ এ বিষয়ে আদালতে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। শুনানি শেষে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হতে আইনগত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সেখানে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। পবিত্র রমজানে পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, ভোজ্য তেল, খেজুর এবং ডালের চাহিদা বেড়ে যায়। আমরা চাহিদা অনুযায়ী এসব পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করেছি। অসাধুচক্র যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে টিসিবির সক্ষমতা ও মজুদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পবিত্র রমজানে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং নিরলস প্রচেষ্টায় ইতঃপূর্বে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র মাহে রমজান, ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসব সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ যাতে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা তৎপর।
সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করি, তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ডাবল ডিজিটে। আমরা দক্ষভাবে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্যে ভেজাল দেয়া অত্যন্ত জঘন্য কাজ। আমি আশা করি, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তারা এ পথ থেকে সরে আসবে। শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদ সামনে রেখে রমজানে হকাররা যাতে ফুটপাতের বদলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ও সময়ে বসে কেনাবেচা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আগে কয়েক দফা কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থান দেয়া হলেও সেখানে হকাররা না বসে ফুটপাত দখল করে। এটা যাতে না হয়, সেজন্য সিটি কর্পোরেশন একটি নির্দিষ্ট স্থান ও সময়ে হকাররা যাতে বসতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ওই ভবন পরিদর্শন করে। ভবন মালিক কর্তৃপক্ষকে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ ব্যবস্থাদি নিশ্চিত করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, সন্তান হারানো পিতা-মাতা, স্বজন হারানো ভাই-বোন, পিতা হারানো সন্তানের কিংবা স্বামী হারানো স্ত্রীর কষ্টটুকু আমি তাদের মতো করেই অনুভব করি। আমি বুঝি, স্বজন হারানো কত যে কষ্টের, পায়ের নিচের মাটিটুকুও থাকে না। আমাদের সরকার এবং আমি জনগণের প্রয়োজনে সব সময় তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। এটা আমার উত্তরাধিকারের দায়বোধ। মানুষের পাশে দাঁড়ানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মানবিক দৃষ্টান্ত ধারণ করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পর বহুতল ভবনগুলোর ইমারতের ব্যবহার, অনুমোদন অনুযায়ী ইমারতের তলার সংখ্যা, বর্তমানে ইমারতের তলার সংখ্যা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চতা, কার পার্কিং, ইমারতের সেটব্যাক, সিঁড়ির সংখ্যা, অগ্নিনির্গমন সিঁড়ি, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা/যন্ত্র ও অতিরিক্ত ইনটেরিয়র ডিজাইনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি। রাজউক ২৪টি টিমের মাধ্যমে এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। এ সংক্রান্ত তথ্য ও প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ও আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন কূটনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ বলিষ্ঠ পররাষ্ট্র নীতির অনুসরণে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ সম্মানজনক ও উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য এখন সর্বজন বিদিত।
তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দূরদর্শী, দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অঙ্গনে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতায় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পরিমণ্ডলে আমাদের পদচারণা সুসংহত হয়েছে।
বিএনপি এমপিদের ছাড়াই সংসদ অধিবেশন শুরু, জায়ানের জন্য সংসদে শোক প্রস্তাব : শপথ না নেয়ায় চলতি জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনও বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্য ছাড়াই শুরু হয়েছে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান বুধবার প্রথমবারের মতো অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের শুরুতে ভয়াবহ বোমা হামলায় শ্রীলংকায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীসহ অন্যদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ওই প্রস্তাবে সম্প্রতি শ্রীলংকায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা, ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের ঘটনায় শোক জানানো হয়। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয় শ্রীলংকায় নিহত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীর নাম। এছাড়া শোক প্রস্তাবে অভিনেতা টেলি সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর ফুফু হামিদা খানম বানু, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, কবি আল মাহমুদ, সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ প্রয়াত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অধিবেশন শুরু হলেও অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচি চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার বিকাল ৪টায় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে অধিবেশনের কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হবে। অধিবেশনটি সর্বোচ্চ ৫ দিন চলতে পারে বলে জানা গেছে।