Header Border

ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল) ২১.৩২°সে

প্রকাশ্য রিভলবার ঠেকিয়ে ‘হুমকি’ দিলেন সাবেক এমপি রানা

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক তপন রবি দাসের পেটে রিভলভার ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন তপন। তিনি বেসরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকার প্রয়াত নরেশ রবি দাসের ছেলে। ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় জিডি করেছেন তপন রবি দাস।

অভিযোগের বিষয়ে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এক শ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরও বলেন, আমি তপন রবি দাসকে চিনি না।

সংবাদ সম্মেলনে তপন রবি দাস জানান, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন চৌধুরী শারীরিকভাবে চলাফেরায় অক্ষম। অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে আনা-নেওয়াসহ সব সময় তিনি তার সঙ্গে থাকেন। সোমবার (৩১ মে) সকালে স্বপন চৌধুরীকে রিকশাযোগে শহরের রেজিস্ট্রিপাড়ায় মেডিকো ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

কলেজপাড়া (হাজী রৌফের বাসার সামনের) মোড়ে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা তার প্রাডো গাড়ি দিয়ে রিকশার গতিরোধ করেন। তারপর গাড়ি থেকে নামেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা রেজওয়ান খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ রাজিব, তার ভাই শুভ ও চাচাত ভাই মনছুর মিয়া এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলী রানার কাছে নিয়ে দাঁড় করান তপন রবি দাসকে।

তখন উত্তেজিত হয়ে রানা তার লাইসেন্সকৃত রিভলবার বের করে রবির পেটে ঠেকিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর তপন রবি দাসকে শহরে দেখা গেলে গুলি করে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে গাড়িতে ওঠে চলে যান। এ সময় রানার সঙ্গীরা তপন রবি দাসকে গালিগালাজ করে গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।

তপন রবি দাস আরও জানান, সাবেক এমপি রানা হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার পর তিনি বিষয়টি স্বপন চৌধুরী, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানান। পরে থানায় জিডি করেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন জানান, গত ৬-৭ বছর ধরে টাঙ্গাইল শহরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জমি দখলমুক্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা খুনের মামলায় খান পরিবারের সন্তান আমানুর রহমান খান রানার জামিন হওয়ার পর থেকে তিনি আবার টাঙ্গাইল শহরকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। টাঙ্গাইলকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখলমুক্ত ও সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সময় সংবাদ লাইভ।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে চরমোনাই পীরের নিন্দা
রাজধানীতে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মী রিমান্ডে
রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপন স্থগিতের আবেদন চেম্বার আদালতেও খারিজ।
সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে: ফখরুল
পঞ্চগড়ে তদন্ত চালিয়ে বিএনপি পেল “আওয়ামী লীগের যোগসাজশ”
বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে: প্রধানমন্ত্রী

আরও খবর