Header Border

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৫.৯৬°সে

ইরফান কারাগারে স্বীকারোক্তি দেহরক্ষী জাহিদের

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান আসামি ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নাকচ করে কারগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আর ঢাকা মেট্রোপালিন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি জাহিদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সাময়িক বরখাস্ত)।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ইরফানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন এবং জাহিদের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আর আসামি ইরফানের পক্ষে আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের এ মামলায় এর আগে গত ১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের এবং ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ইরফান সেলিম ও জাহিদকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলায় রিমান্ড শেষে ইরফান সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিকী দিপু এবং হাজী সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান খান কারাগারে আছেন। ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি হাজী মহসীনে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এবি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। ২৬ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজারে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। আর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। দুই মামলায় মোট দেড় বছরের সাজা দেয়া হয় তাকে।

ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ৬ মাসের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা, বিদেশি মদ, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি করে চারটি মামলা হয়। এসব মামলায়ও তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন

আরও খবর