সময় সংবাদ রিপোর্টঃ ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। ১৮ মার্চ, শনিবার তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের তিনটি বন্দর হতে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ ১৮ মার্চ পর্যন্ত ছিল। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এরদোয়ান জানিয়েছেন, রাশিয়া চুক্তি নবায়নে রাজি হয়েছে।এরদোয়ান বলেছেন, ‘দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর, আমরা চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছি। এই মেয়াদ ১৮ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল।’
তবে চুক্তিটি কতদিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী খবর ছিল। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুব্রাকভ বলেছেন যে চুক্তিটি ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে রুশ মিডিয়া আরবিসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চুক্তিটি কেবল ৬০ দিনের জন্য।
কুব্রাকভ টুইটারে লিখেছেন, ‘কৃষ্ণসাগর খাদ্যশস্য চুক্তি ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এবং আমাদের সমস্ত অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এদিকে শস্য চুক্তিটি কতদিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেয়। কারণ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি করে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধরত দেশ দুটি জুলাই মাসে শস্য রপ্তানি চুক্তি করে। এই চুক্তির ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের তিনটি বন্দর হতে শস্য রপ্তানির অনুমতি দেয় রাশিয়া। নভেম্বর পর্যন্ত চুক্তিটির মেয়াদ ছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এখন আবার তৃতীয়বারের মত এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।