Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৬.৯৬°সে

ক্ষমতায় যেতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেন খালেদা-তারেক

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর তার ছেলে তারেক রহমানের একগুয়েমিতে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কারণেই সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ৭ মে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিদিনের ন্যায় আজও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসবীরুল হক অনুর উদ্যোগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিলের নির্দেশনায় এ কর্মসূচি পালন করেন যুবলীগ নেতা অনু।

এক/এগারোর সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা তুলে ধরে এস এম কামাল বলেন, ‘বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। আঘাত এসেছে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপর। শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং এক/এগারোর তথাকথিত সরকার সেদিনও তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই বাঙালি তার অধিকার ফিরে পেয়েছে। বাঙালি তার অন্ন বস্ত্র চিকিৎসা শিক্ষার নিশ্চয়তা পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন বলেই আজকে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যাচ্ছে।’

কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আবার ষড়যন্ত্র করছেন জানিয়ে এসএম কামাল বলেন, ‘একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হল সেই সময়ও যারা ইসলামের কথা বলে পাকিস্তান রক্ষার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশকে অর্থনীতির ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর চেষ্ঠা করেছেন তখনও যে শক্তি সেদিন মুসলিম বাংলার স্লোগান দিয়ে পাটের গুদামে আগুন দিত, ঈদের জামাতে এমপিকে গুলি করে হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া থেকে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার মধ্য দিয়ে সেই অপশক্তি সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশে তার ভিত রচনা করেছিল। যার ফলে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের বিদায় দিয়েছেন বলে দাবি করে এসএম কামাল বলেন, ‘কিন্তু আজকে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই একাত্তরের খুনীরা ৭৫’র খুনীরা তারা আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে, এই সরকারের বিরুদ্ধে। তার কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতৃত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন। সেই মুহূর্তে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, ৭৫’র খুনীরা আর তাদের প্রতিনিধি বাবুনগরী-মামুনুল হকরা নতুন করে মোদী বিরোধীতার নামে ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা মনে করি, ওরা ইসলামের রক্ষক না। ওরা হেফাজত ইসলাম না। ইসলামের হেফাজতকারী হচ্ছে আল্লাহতায়ালা। তারা ইসলামের পক্ষে ইসলামের প্রচার করতে পারেন, কিন্তু বাবুনগরী-মামুনুল হকরা ইসলামের প্রচার করছেন না। তারা জামাত-বিএনপির হেফাজত করছেন।’

দলীয় নেতাকতর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শপথ নিতে হবে। আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে, দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে, সেই ৭৫’র খুনী, একাত্তরের খুনীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

এসএম কামাল আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে দেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র পুনরুৎদ্ধার হয়েছে। কারণ, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছিলেন। এটা আমার কথা না, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বিউটেনিস বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছেন খালেদা জিয়া আর তার ছেলে তারেক জিয়া তাদের একগুয়েমিতে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কারণেই সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছেন।’ তাই নতুন করে আর কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা এসেছিল বলেই আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পেয়েছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে বিশ্ব নেতৃত্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন সকল ক্রাইসিস মোকাবেলায় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তাই শেখ হাসিনা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে।’

সময় সংবাদ লাইভ। 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবে বিএনপি
বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হবে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’: রিজভী
নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ভাঙ্গার চেষ্টা হয়েছিল : আমীর খসরু
মির্জা ফখরুল-খসরুর ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ প্রত্যাহার, আজই মুক্তি

আরও খবর