সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃপটুয়াখালী সদর থানা এবং পাজাখালী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী লোহালিয়া নদী। নদীর তীরবর্তী মানুষের শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে নানা কারণে পাজাখালী থেকে পটুয়াখালী সদরে যেতে নৌকাযোগে যাতায়াত করতে হয় যা নারী,শিশু বা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই নিম্ন, মধ্যবিত্ত এবং নারীরা শিক্ষা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে পাজাখালী ইউনিয়নে ২০০২ শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ জনাব আশ্রাব আলী হাওলাদার ‘ পাজাখালী কলেজটি’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি উপকূলবর্তী এ ইউনিয়নের শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।জাতীর মেরুদণ্ড এ কথা জেনেই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান দান করে আসছে। এমপিও বন্ধ থাকায় তাদের এ গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়েছে বিনাবেতনে। জাতির মেরুদণ্ড সোজা রাখতে এক একজন শিক্ষক জীবনের সবটুক উজাড় করে দিয়েছে এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে। MPO( Monthly Pay Oder) সরকার থেকে মাসিক ভাতার আশায়। আজ পর্যন্ত কলেজটি এমপিও-র আওতাভুক্ত হয়নি। তাই শিক্ষক ও কর্মচারীরা চরম মানবেতর জীবন যাবপন করছে। অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে। অনেক শিক্ষক এভাবে আর বিনাবেতনে খাটতে চায় না। তারা শিক্ষার মতো এ সুমহান পেশা পরিবর্তন করতে চায়। তাদের ছেলেমেয়েদের অর্থের অভাবে সুশিক্ষিত করতে হিমসিম খাচ্ছে। অন্যান্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন – কলেজটি উপকূলবর্তী ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় ভূমিকা রেখেছে তাই কলেজটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে এমপিওর আওতাভুক্ত করার জোর দাবী জানিয়েছেন। ছাত্রছাত্রী জানিয়েছে – নদী পারাপার হয়ে তারা পটুয়াখালী সদরে যেতে চায় না। বর্ষা এলে এ বিশাল খরস্রোত নদী পারাপার আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবী তাদের স্থানী কলেজটি এমপিও ভুক্তি করে বাঁচিয়ে রাখা হোক। এলাকার নানা শ্রেনি পেশার মানুষ একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে।
আবদুর রাজ্জাক, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,সময় সংবাদ লাইভ