Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৮.৯৬°সে

প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ

সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনারসমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি বোমা পুতে রাখার ঘটনায়হওয়া ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ আসামিরমৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের নির্দেশদিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচারট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন। একটি ফায়ারিংস্কোয়াডে প্রকাশ্যে প্রত্যেক আসামির মৃত্যুদণ্ডকার্যকর করার নির্দেশ দেন বিচারক।

রায়ে বিচারক বলেন, ‘দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ধারায় অপরাধের জন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড প্রদানকরা হলো। একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যেআসামিদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করারনির্দেশ হলো। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতেকর্তৃপক্ষের কোনো অসুবিধার কারণ থাকলেপ্রচলিত নিয়মানুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদেরপ্রত্যেকরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়াহলো। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির১২১/৩৪/১০৯ ধারায় চরম দণ্ড প্রদান করায়দণ্ডবিধির ১২১ ক/২২২/১২৪ “ক” ধারা মতে কোনোদণ্ড প্রদান করা হলো না।’

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হকওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফেরাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমানওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুররশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানাআমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানারফিকুল ইসলাম খান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখলুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে তৎকালীনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়।ওই ঘটনার পরদিনই সেখানে শেখ হাসিনার বক্তব্যদেয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানারউপপরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরকদ্রব্য আইনেমামলা করেন।

২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালীন সিআইডিরএএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মুফতি হান্নানসহ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।এরপর ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতআসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচারচলাকালীন বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীরমধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নানএই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্যমামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলাররায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন মোল্লা, আনিসুল ইসলাম,মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওমাওলানা রফিকুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ, শেখ মো. এনামুল হক, মোছাহেব হাসান।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইআদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবুআব্দুল্লাহ ভূঞা রায়ের পর বলেন, দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই রায় হলো। সব আসামিরসর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আশাকরছি উচ্চ আদালতেও এই দণ্ড বহাল থাকবে।

এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ এবংবিস্ফোরক আইনে মোট তিনটি মামলা হয়। এরমধ্যেষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২০০১ সালের ১৫নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহারআকন্দ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০০৪সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধেঅভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেনআদালত।

এই ঘটনায় হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালেরঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-২ এর বিচারকমমতাজ বেগম ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। গত১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও আসামিদের মৃত্যুদণ্ডবহাল রাখেন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

মির্জা ফখরুল-খসরুর ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ প্রত্যাহার, আজই মুক্তি
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৩ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
ভাষার মাসের প্রথম দিনে হাইকোর্টে বাংলায় আদেশ-রায়
নির্বাচন শেষে কারামুক্তির আশা বিএনপি নেতাকর্মীর
বাতিলই থাকছে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা
৩০ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৬০০ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

আরও খবর