Header Border

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ৩৪.৯৬°সে

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে সভা করলেন কাদের মির্জা

সময় সংবাদ লাইভঃ দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক সভা করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

advertisement

জানা যায়, গত দুই মাস ধরে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা তার ‘সত্যবচনের’ নামে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে এমপি, মন্ত্রীদের ব্যাপক সমালোচনা করে আসছিলেন। সমালোচনা করতে গিয়ে কারো কারো চরিত্র নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

advertisement

কাদের মির্জার এসব বক্তব্যে পুরো দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে থাকে চরমভাবে। বিরোধী পক্ষের কাছে হাস্যরসে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সাধারণ মানুষের কাছে সমালোচিত হতে থাকে দল ও দলের নেতৃত্ব।

এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ‘সাবেক ছাত্রনেতা ও ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ও ওবায়দুল কাদেরের অপর ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে এ প্রতিবাদ উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। ফলে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতি প্রত্যক্ষভাবে দুভাগে ভাগ হয়ে যায়।’

advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র বসুরহাট পৌরসভা ছাড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নেতাদের নেতৃত্বে দলের বড় অংশ মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার কোম্পানীগঞ্জে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিতসহ রাজনৈতিক নেতাদের ফেসবুক লাইভের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।’

দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ মিজানুর রহমান বাদল, ‘মাহবুব রশিদ মঞ্জু ও ফখরুল  ইসলাম রোতের নেতৃত্বে প্রতিবাদীরা মানলেও কাদের মির্জা তা প্রতিনিয়ত অমান্য করে চলছেন। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় কর্মকান্ড।’

এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার বিকেলে কৌশল অবলম্বন করে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে জনগণকে সচেতনতামূলক সমাবেশ করার কথা বলে ডেকে এনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। কাদের মির্জা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি জনস্বার্থে আর ওরা (বিরোধী পক্ষ) করে নিজ স্বার্থে।’

তিনি নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর, কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ও পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার টেক্সের পয়সায় তোমার বেতন দেওয়া হয়। এখানে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয়েছে, তার হত্যার যদি ন্যায় বিচার না হয়, যদি এই হত্যাকাণ্ডে জজ মিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়। যদি আমার গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া না হয়। যদি আর একটা কর্মীর উপর হামলা হয়। আর যদি কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে সকল দায়দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে।’

তিনি সমাবেশ থেকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭ নম্বর মুছাপুর ইউনিয়নে আইয়ুব আলী ও ৩ নম্বর চরহাজারী ইউনিয়নে এএসএম মাঈন উদ্দিন পিন্টুকে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন।

যদিও তিনি এ ঘোষণা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার রাখেন না বলে অনেকে মনে করছেন। তাদের মতে কাদের মির্জা দলের সাধারণ একজন সদস্য হয়ে কিভাবে এ মনোনয়ন দেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ নিহত ১৪

আরও খবর