Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৯.৯৬°সে

বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান জামিন পেলো

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারাধীন থাকা মামলায় তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন।  বগুড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষিতা ও তার মাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার মামলায় আলোচিত প্রধান আসামি বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১’র বিচারক একে এম ফজলুল হক এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

তুফান সরকার বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মোন্নাফ, নুরুস সালাম ও রবিউল ইসলাম।

আইনজীবী আবদুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারাধীন থাকা মামলায় তার মক্কেল তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন। চুল কেটে দেওয়া ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের অপর মামলায় তুফান সরকার জামিনে রয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১’র রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখার্জি জানান, রোববার ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তুফান সরকারের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাকে জামিন দিয়েছেন।’

নরেশ মুখার্জি আরও বলেন, মামলার প্রধান সাক্ষী বাদী নিজেই। এছাড়া ভিকটিম মেয়েটিও মামলার অন্যতম সাক্ষী।

রোববার প্রধান আসামির জামিন শুনানির আগে মামলার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তুফান সরকার মামলার পর থেকেই কারাগারে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রয়েছে। সেই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন কি না, তা জানা নেই। তুফান সরকার ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা আগে থেকেই জামিনে রয়েছেন।

২০১৭ সালের ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে তুফান সরকার বাসায় ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে তুফানের স্ত্রী ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমী বেগম ওই কিশোরী ও তার মাকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাসা থেকে ধরে এনে নির্যাতন চালায় এবং এক পর্যায়ে দুইজনের মাথা ন্যাড়া করে দেয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১’র বিচারক এ কে এম ফজলুল হক। এই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আসামিপক্ষ আবেদন করলে ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই আদেশ খারিজ করে আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রাখেন।

অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা হলেন- তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান ওরফে আশা, আশার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান ওরফে রুমকি, তুফানের শাশুড়ি লাভলী রহমান ওরফে রুমি, তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান ওরফে আতিক, মুন্না, আলী আযম, মেহেদী হাসান ওরফে রুপম, সামিউল হক ওরফে শিমুল ও এমারত আলম খান ওরফে জিতু। তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা আগে থেকে দুই মামলাতেই জামিনে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বৈত বেঞ্চ আলোচিত এই ধর্ষণ মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে মা-মেয়েকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় গত বছরের ৭ নভেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালত ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ গঠন) করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আরও খবর