নির্বাচনে বিএনপি অপরিহার্য নয় দাবি করে আওয়ামী লীগ বলছে তাদের অংশগ্রহন থাকুক বা না থাকুক বিদ্রোহীদের ব্যাপারে বরাবরের মতো জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।
সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভরাডুবির পর স্থানীয় সব নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। পৌরসভা ও উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় জয়ও পায় ধানের শীষের প্রার্থীরা।
ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি-মহাসচিব ঘোষণা দেন আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা।
তবে তাদের এই ঘোষণাকে রাজনৈতিক কৌশল মনে করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন,’বিএনপি নামক এই দলটি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে। সঠিক অর্থে তারা যদি ভোট চাইতো, ভোট চাইতে জনগণের কাছে যেত তবে এমন একটা শোচনীয় অবস্থা বিএনপি’র হতো না।’
তারা মনে করেন, যেকোন নির্বাচনে বিএনপিকে অপরিহার্য ভাববার কোন কারণ নেই। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন,’দলীয় মার্কা নিয়ে হয়তো বিএনপি অংশ নেবে না তবে দেখা যাবে অন্য কোনভাবে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং বিভিন্ন দল মতের প্রতিফলন কিন্তু এই নির্বাচনে থাকবে।’
বিএনপি না এলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে শিথিলতার কোন সুযোগ থাকবে না। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন,’আমরা দল থেকে মনোনয়ন দেব এবং দলের নেতা কর্মী সকলকেই আহ্বান জানানো দলের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য।’
১১ই এপ্রিল প্রথম দফায় ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও পরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নির্বাচনি তৎপরতা শুরু হবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
সময় সংবাদ লাইভ।