Header Border

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৯.৯৬°সে

রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ : ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সময় সংবাদ রিপোর্টঃ বাস শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’

শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বাসে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। স্থানীয়রা অবস্থান করছেন বিনোদপুর বাজারে। আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের ভেতরে ক্যাম্পাসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের বিনোদপুর হয়ে কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনোদপুর বাজারে অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।

এ সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পাশে সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয়েছে বিনোদপুর গেট সংলগ্ন পুলিশ বক্সেও। সেখানে পুলিশের একটিসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর দুদিনের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শনিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে রোব ও সোমবারের সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামে একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল ও সুপারভাইজর রিপনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারও কন্ট্রাকটরের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের ওপর চড়াও হন।

একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক ছাত্রের সঙ্গে বাসের কন্ট্রাক্টরের প্রথমে ঝামেলা হয়। পরে ওই ছাত্রের ৮-১০ জন বন্ধু মিলে একজনকে মাটিতে ফেলে পেটাতে থাকেন। এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় দোকান মালিকরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে যায়।

বিনোদপুর বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এক ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীদের থেকে উদ্ধার করতে গেলে উল্টো শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশের সামনেই তারা বিনোদপুরের কয়েকটি দোকানে আগুন দেয়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী
তাপদাহে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ আরও বাড়াল আবহাওয়া অফিস
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়াল সরকার
উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা
সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন

আরও খবর