Header Border

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৯.৯৬°সে

হেফাজতে আমীর বাবুনগরী-মামুনুল ও ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তিনজনের নামে রাষ্ট্রদোহের মামলা করেন । একই সময়ে মাওলানা মামুনুল হককে আসামী করে আরেকটি মামলা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।
তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান বলেন, সকালে মামলার শুনানির শেষে দুপুরে বিচারক মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে এই মামলাকে সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘এটাই আমাদের সৌভাগ্য। এটাই নাযাতের উছিলা হবে’।
আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে মামলার বাদী দাবি করেছেন, আসামীরা এ রূপ ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীনউদ্দেশ্যে বিদেশী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়া তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা এবং শত্রুর ভাব সৃষ্টি করেছে। ফলে আসামীদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেকের মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনে হিঁছড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তাঁদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে।
মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে কুষ্টিয়ায় তাদের অনুসারীরা গত ৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ডান হাত ও পুরো মুখমণ্ডল এবং হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল। মাওলানা মামুনুল হক ও জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে দুর্বৃত্তরা। যা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং তাদের এইরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং কার্যকলাপ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরাগ ও ঘৃণা সৃষ্টির অশুভ অভিপ্রায়ে করা হয়েছে বিধায় মাওলানা মামুনুল হক গং দণ্ডবিধির ১২৩ক/১২৪ক/৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

সব বিরোধী দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ নিহত ১৪
ইরানি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাবে ইসরাইল !

আরও খবর