সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃসরকারের পূর্ব ঘোষিত কঠোর লকডাউন শুরু হয় আজ সকাল ৬ টা থেকে। কিন্তু বিধি বাম চোর না শুনে ধর্মের কথা। প্রকৃত অর্থে এই উৎসুক জনতা কি করনায় মরার পর বুজবে, করনা কতটা ভয়ানক।
বরিশালে মেইন সড়ক গুলি সরোজমিনে দেখে মনে হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি বেশ তৎপর এবং চলছে জেলা পুলিশের পক্ষথেকে স্বচেতনতামূলক মাইকিং। নথুল্লাবাদ, রুপাতলী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। যাতে অকারনে কেউ নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন মোবাই কোর্ট।
বরিশালের সদর রোড, লঞ্চঘাট, রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ সহ মেইন রোডের সকল অফিস, দোকান পাট বন্দ রয়েছে শুধু ব্যাংক ব্যাতীত। শহরের ভিতর ব্যাক্তিগত মটর সাইকেল এর ব্যাপক চলাচল রয়েছে তার সাথে চলছে রিক্সা।
কিন্তু শহরের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সকল দোকান পাট বন্দ থাকলে ও সমস্যা বিভিন্ন অলীগলির দোকান। শহরের প্রত্যেকটি গলির সব রকমের দোকান পাট খোলা রয়েছে এবং চায়ের দোকানে সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাড়া এই লক ডাউন মানে না এবং করনা নামে নাকি কিছু নাই সব সরকারের কারসাজি। সবচেয়ে বিপদ জনক চায়ের দোকান মালিক এবং মুদি দোকান মালিকেরা তারা বলে আমরা পুলিশ ম্যানেজ করবো আপনারা সাংবাদিকরা বাসায় গিয়ে ঘুমান। তাই শহরে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনির কাছে অনুরোধ থাকলো আপনারা গলির ভিতরের দোকান গুলো বন্ধ করার ব্যাবস্থা করেন। তারা কোন কিছুই মানছে না আর এরকম চলতে থাকলে মেইন সড়ক কঠোর লকডাউন থাকলেও গলিতে গলিতে চলছে ওপেন ডাউন।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনি কিছু মানুষকে গ্রেফতার করলেও পরিস্থিতি এখনও ওপেন ডাউন এর মতো।
কিছু উৎসুক জনতা আবার দেখতে বের হয়েছে কি রকম লকডাউন চলছে। পুলিশ কাউকে আটক করলে সেখানে বিড় জমাচ্ছে দেখার জন্যে এই জন্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
দোকান বন্দের পাশাপাশি মানুষ যাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এই মানুষগুলোকে বুঝিয়ে কোন লাভ নাই, এদের জন্যে লাঠি ই উত্তম।
সরবপরি, থামানো বা থামা উচিৎ এই উৎসুক জনতার কৌতুহল, যারা কোন কিছু ই তোয়াক্কা করে না।
কঠোর লকডাউন এর মধ্যে ও কিছু কিছু কম্পানির এসআর রা জরুরী সেবা লাগিয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে অডার কালেকশন করছেন এবং কিছু এনজিওর লোক কিস্তি কালেকশন করছে। এই সব রাঘব বোয়ালদের থামাতে না পারলে লকডাউন দিয়ে কোন ফল হবে বলে আশা করা যায় না। চাকুরী বাঁচানোর জন্যে কম্পানির কর্মরত লোকজন শত প্রতিকুলতার মধ্যে ও কাজ করছেন মৃত্যু যুকি নিয়ে আর কম্পানির বড় কর্তারা এসি রুমে বসে অর্ডার করতেছেন। এদেরকে থামানো দরকার। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ কিসের অনলাইন ও জরুরি সেবা তা পরীক্ষা করে দেখা
মোঃ সোহেল মাহমুদ, নলছিটি প্রতিনিধি,সময় সংবাদ লাইভ।