*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ আগামী বছর দেশে চলমান তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি-৬) প্রকল্পের দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে ভায়াডাক্টের উপর বৈদ্যুতিক ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচলের উদ্বোধন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।
কাদের বলেন, “আমি আশা করছি, আগামী বছর ইনশাআল্লাহ তিনটি মেগা প্রজেক্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারবেন।”
এর মধ্যে আগামী বছরের জুনে প্দ্মা সেতু, এরপর কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং ডিসেম্বরে এমআরটি-৬ প্রকল্পের উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বলেন, “সমালোচকরা সমালোচনা করবে, অপপ্রচার করবে, কিন্তু আমরা জবাব দেব কাজ দিয়ে। আমরা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী টানেল দিয়ে জবাব দেব।”
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রধান হায়াকাওয়া ইউহু, মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, এমআরটি-৬ প্রকল্পে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে গত ২৩ অগাস্ট বসানো হয়েছে শেষ স্ল্যাব; এখন পিচ ঢালাই হয়ে গেলেই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।
সেতু বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের ভৌত কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ শতাংশ।
‘ওয়ান সিটি-টু টাউন’ মডেলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদশে তৈরি হচ্ছে সাড়ে তিন কিলোমিটারের সুড়ঙ্গপথ।
চীনা অর্থায়নে চলমান বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।