সময় সংবাদ রিপোর্টঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আজ বুধবার ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনের এ রাষ্ট্রীয় সফর করবেন তিনি। নিজের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গী হিসেবে থাকছেন।আজ সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে তাকে দেওয়া হবে গার্ড অব অনার। এর পর রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিকালে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সোনারগাঁও হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের।সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার সকালে রমনা কালীমন্দির পরিদর্শনে যাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। সেখানে সদ্য সংস্কারকৃত অংশ উদ্বোধনও করবেন তিনি। এদিন দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তার।গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাংক এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে উপহার দেবেন। সফরে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যখনই সাক্ষাৎ হয়, আমরা সব ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি বিশেষ আয়োজনে ঢাকায় আসছেন, তার পরও আমরা তার সঙ্গে আমাদের ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করব। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের বিষয় নেই।