Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ২২.৯৬°সে

আজ শুভবিজয়া ॥ মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর

ডেইলি নিউজ রিপোর্ট॥ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণ এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নিরন্তর শান্তি ও সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ সমাপন ঘটবে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ শুভ বিজয়া। সনাতন হিন্দু বিশ্বাসে-বোধনে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে আনন্দময়ী মা উমাদেবীর আগমন ঘটে। টানা পাঁচ দিন মৃন্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে আজ ফিরে যাবেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।’

‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে দূর কৈলাশ ছেড়ে মা পিতৃগৃহে আসেন ঘোটকে চড়ে। আজ বিজয়া দশমীতে এয়োস্ত্রীদের দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেবেন আবারও ঘোটকে। আজ সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে নামবে ভক্তদের ঢল। ঢাক আর শঙ্খধ্বনি। টানা মন্ত্রপাঠ। উলুধ্বনি আর অঞ্জলি। সঙ্গে ঢাকের বাদ্য, নাচ, সিঁদুর খেলা। ধান, দূর্বা, মিষ্টি আর আবির দিয়ে দেবীকে বিদায় জানাবে ভক্তরা।

আজ একদিকে বিদায়ের সুর, অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। অনেক হিন্দু আজ উপবাস করবেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, স্বামীবাগসহ বিভিন্ন মণ্ডপে চলবে আবির উত্সব। সকালে দেওয়া হবে দর্পণ ঘট বিসর্জন। রাজধানীতে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিজয়া শোভাযাত্রা শেষে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বঙ্গভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন আলোকসজ্জিত করা হবে।

এদিকে গতকাল নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে হিন্দুরা নবমী বিহিত পূজা করেন। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। সকালে নবমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ভোগ আরতি। শেষবারের মতো ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বাসা-বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সনাতন বিশ্বাসে ধর্মের গ্লানি আর অধর্ম রোধ, সাধুদের রক্ষা, অসুরের বধ আর ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা ভক্তদের মাঝে আবির্ভূত হন। শুভ বিজয়ার মাধ্যমে জাগতিক প্রাণীকে শোনান সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক
আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সাকিবকে তলব
নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ
তৃণমূল বিএনপির ২৩০ প্রার্থী চূড়ান্ত
রাজনৈতিক কারণে মার্কিন শ্রমনীতির টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ

আরও খবর