আলমগীর পারভেজ : আসলাম আলী। পেশায় রিকশাচালক। সংসারে পাঁচ সদস্য। দিন কামান, দিন খান। গত ৮-১০ দিন ইনকাম নাই। তার বক্তব্য হলো– সকালে বের হইছি। লোকজন নেই, ক্ষ্যাপও কম। একটা ক্ষ্যাপ নিয়ে দৈনিক বাংলা আইছি। ওখান থেকে ঘুরতে ঘুরতে এখানে আসলাম। এখানে পুলিশ ধরে রিকশা উল্টা করে রেখেছে। এক ঘণ্টার শাস্তি। কী করবো বলেন? আমরা তো শখে বের হই নাই। আমাদের শাস্তি দিয়ে লাভ কী? আমাদের ব্যাংক ব্যালেন্স নাই। ঘরে খাবারও মজুদ নাই। গাড়ি না চালাইলে চলব কেমনে, খামু কী? আমাদের খাবার দেবে কে? এখন পুলিশ ছাড়লে গ্যারেজে গিয়ে রিকশা জমা দিতে হবে। কিন্তু ইনকাম হইছে ১০০ টাকা। ৫০ টাকা জমা দিলে থাকব ৫০ টাকা। পাঁচ জনের খাবার কেমনে চলবে? লকডাউনে আমরা কী করব?’
রিকশা উল্টো করে রাখায় বসে আছেন আরেক চালক মুনসুর বেপারী। ষাটোর্ধ্ব এ রিকশাচালক বলেন, ‘বয়স হইছে বলে কেউ কাজে নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে রিকশা চালাই। মানিকনগর থেকে মতিঝিল যাত্রী নিয়ে আসলাম। নামিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ রিকশা ধরছে। আধা ঘণ্টা হইছে। কথা বললে শাস্তি বাড়ে। তাই চুপ করে বসে আছি। লকডাউনে রিকশা চালাইতে দিব না। কী করবো? সংসার চলবে কেমনে? খাবার দেন, ঘরে বসে থাকি। তা তো দিব না। গরীবের যত সমস্যা। বলে লাভ কী?’