সময় সংবাদ রিপোর্টঃ ব্যর্থতা থাকলে তা খুঁজে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যর্থতা খুঁজে দিলে সংশোধন করে নেবেন বলেও জানান তিনি। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম জানতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যর্থতা আছে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সফলতা কী, ব্যর্থতা কী—এটা যাচাই করবে জনগণ। এটা যাচাই করা আমার দায়িত্ব না। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই বিচার করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কলেজেও রাজনীতি করেছি। ভিপি ছিলাম। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। রাজনীতি আমাদের পারিবারিক, একেবারেই রক্তেই আছে। কিন্তু কখনও এত বড় দায়িত্ব নিতে হবে বলে ভাবিনি। ওই ধরণের কোনো আকাঙ্ক্ষাও ছিল না। এমনকি কখনও এই ধরনের দাবিও করিনি।’
তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে যখন যে কাজ দিয়েছে, সেই কাজই করে গেছি। চেষ্টা করেছি। পঁচাত্তরের পরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দিল। বিশেষ করে ১৯৮০ সালে যখন লন্ডনে গেলাম, সেখানে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি।’
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনটা সফল হওয়া, কোনটা বিফল হওয়া, সেটা না। সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন—সেটা আমরা বয়োবৃদ্ধ যারা আছি তারা জানি। কিন্তু আজকের প্রজন্ম জানবে না। যদি সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কি কাজ করতে হবে সেটা বিবেচনা করে কাজ করা যায় তাহলে ব্যর্থ হবো কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই করবে।’