সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনমাধ্যম এডিটেড বা নকল পর্নোগ্রাফি আগামীতে ভয়ংকর হিসেবে দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ডিপফেইক পর্নোগ্রাফি।
ডিপফেইক পর্নোগ্রাফিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির ছবি পর্ন ভিডিও বা ছবিতে জুড়ে দেয়া হয়। এ প্রযুক্তি এমন নিখুঁতভাবে ভুয়া পর্ন তৈরি করে যা দেখতে আসল লাগবে। অর্থাৎ কাউকে হেনস্তা, প্রতারিত ও প্রতিশোধ নিতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার হবে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, এর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা জরুরি। এটি আশঙ্কাজনকহারে ছড়াবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্লার ম্যাকগ্লিন বলেছেন, মানুষ এরইমধ্যে ডিপফেইক পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন এবং এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। অনেক সময় ঘনিষ্টজনদের মাধ্যমেও এমন হয়।
প্রফেসর ম্যাকগ্লিন আরও বলেন, আমরা যদি এখন এটি বন্ধ না করি, যদি ব্যবস্থা না নিতে পারি তাহলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়াবে। মহামারিতে রূপ নেবে।
ভুক্তভোগী এক নারী জানান, তিনি ১০ বছর আগে একজনকে বিশ্বাস করে গোপন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ব্রেকআপের পরে তিনি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আপত্তিকর ম্যাসেজ পান। এরপর তিনি তার আপত্তিকর কিছু ছবি পর্ন সাইটে দেখতে পান। ছবিগুলোতে তার নামও দেয়া ছিল। পরে তিনি বুঝতে পারেন এটা তার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের কাজ। পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতায় ছবিগুলো জব্দ করেন।
হেলেন মোর্ট নামের এক লেখিকাও একজন ডিপফেইক পর্নোগ্রাফির ভুক্তভোগী। বছর দুয়েক আগে এক পর্নসাইটে তার ভুয়া ছবি দেখতে পান। কিন্তু তারও আগে তার ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছিল।
ডিপফেইক বিশেষজ্ঞ হেনরি আজদার জানান, ডিপফেইক পর্নের প্রবণতা ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়। এসব তৈরির সফটওয়ার বা উপায় সহজলভ্য ও উন্মুক্ত, যার কারণে যে কেউ সহজে এগুলো ব্যবহার করতে পারে। আগামীতে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি স্টার ইউকে।
সময় সংবাদ লাইভ।