সময় সংবাদ রিপোর্ট :পহেলা বৈশাখ ও ঈদ ঘিরে রাজশাহীতে সিল্কের পোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সিল্কের শাড়ি, থ্রিপিস ও পাঞ্জাবিতে আনা হয়েছে নতুনত্ব।ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্কের শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি ও শার্টের বেচাকেনা হয় পুরো বছরজুড়ে। তবে যে কোনো উৎসবে বেড়ে যায় কয়েকগুণ।দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদের আমেজ। তাই রেশম নগরী রাজশাহীর বিসিক এলাকার শোরুমগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাসমাগম। প্রতি বছরের মতো এ বছরও রেশমের তৈরি পোশাকে এসেছে বৈচিত্র্য ও নতুনত্বের ছোঁয়া। নজরকাড়া বাহারি ডিজাইনের রেশমি পোশাক কিনতে সিল্কের শোরুমগুলোর দিকে এখন নজর সবার।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বাংলাদেশে রাজশাহী একমাত্র জেলা শহর যেখানে খাঁটি রেশমি কাপড় পাওয়া যায়।
এ ছাড়া আভিজাত্যের ছোঁয়া থাকায় ঐতিহ্যবাহী এই রেশমি কাপড় রাজশাহীবাসীর পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে। দামের দিক থেকে বিবেচনা করলে ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যায় সিল্কের পোশাক।বিক্রেতারা জানান, শোরুমগুলোতে সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবি আড়াই হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দিচ্ছেন নানা লোভনীয় অফারও।রাজশাহী চেম্বার নেতার আশা, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এবার ঈদ মৌসুমে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার সিল্কের পোশাকের বেচাকেনা হবে।রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘করোনা সময়ে আমাদের এই খাতে একটি ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। আশা করছি চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা এই ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।’বর্তমানে রাজশাহী জেলায় সিল্কের শোরুম রয়েছে প্রায় অর্ধশত।