সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃবরিশালের উজিরপুরে হত্যামামলার এক নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মাইনুল ইসলাম। প্রত্যাহার করে গতকাল দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এসএম আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।
ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মাইনুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি গঠনের পরদিন তাদের প্রত্যাহার করা হলো।
এর আগে শনিবার বিকালে আদালতের নির্দেশে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ী এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তীর দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে উজিরপুর মডেল থানাপুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাকে উজিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পরই এক নারী পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। পরে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাকে মারধর করেন। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং ২৯ জুন দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থিত করা হলে ভুক্তভোগী নারী আসামি বিচারককে বলেন, রিমান্ডে নিয়ে প্রথম দিন তাকে মারধর না করা হলেও পরদিন (৩০ জুন) সকালে তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হয়। তিনি তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালান। এর পর এক নারী পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাকে ১৫-২০ মিনিট ধরে পেটান। একপর্যায়ে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।
সময় সংবাদ লাইভ।