Header Border

ঢাকা, রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ২৭.৩২°সে
শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! সেনাবাহিনীর এই অভিযানে একজন অপরাধীও যেন বাদ না যায় ! অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সময় দিতে চায় বিশ্ব সম্প্রদায় ! ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের আজ ঢাকায় সমাবেশ,৯ মহানগরে শোভাযাত্রা;নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান মোজাম্মেল-শাহরিয়ার-শ্যামল ৭ দিনের রিমান্ডে ডিসি নিয়োগ নিয়ে আজও বিক্ষোভ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে ৯টি দফা দাবি জানিয়েছে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’। ভারত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুত্বের রাজনীতি করেছে: মির্জা ফখরুল

উন্নত সমাজ গঠনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই

সমাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অংশ আর মানুষ হচ্ছে একমাত্র সামাজিক জীব। কোনো মানুষই পৃথিবীতে সমাজ ছাড়া একাকী বসবাস করতে পারেনা। অকেগুলো পরিবার নিয়ে সমাজ গঠিত হয়। মানুষ যেমন একা চলতে পারেনা তেমনি সমাজও এমনি এমনি চলতে পারে না। সমাজ পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন একদল পরিচালকের। সমাজকে তার স্ট্যাটাস অনুযায়ী গঠন,পরিচালনা ও নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে পরিচালকরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সমাজ জীবন আছে বলেই আমরা একে অপরকে সম্মানের চোখে দেখি, একজন অন্যজনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। অর্থাৎ সমাজ মানেই পারস্পারিক স্নেহ, ভালবাসা আর সৌহার্দ্য-সহযোগিতার এক সুদৃঢ় বন্ধন।

স্বাভাবিকভাবে দেখলে মনে হবে আমাদের চলার পথে সমাজের কোন অবদান নেই। কিন্তু গভীরভাবে দেখলে দেখা যাবে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে সমাজ ও সামাজিক প্রক্রিয়ার নানা অবদান। উদহরণসরূপ বলা যায়, যখন আমাদের সমাজে কোন বিপর্যয় নেমে আসে বিশেষ করে মহামারি, অগ্নিকান্ড,খরা,বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের মত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তখন আমাদের চারপাশ থেকে সহযোগিতার অসংখ্যা হাত বেরিয়ে যায় নানা সংগঠনের নামে। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তাদের কাজ করতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ড, ভবন ধস, জাহাজ ডুবিতে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমরা দেখেছি। অর্থাৎ একটি ভংগুর সমাজকে টেনে তুলতে কতগুলো মানুষের চিন্তা, কর্ম, আর সহযোগিতা প্রয়োজন হয়।

আমাদের জীবন পরিচালনা করার পথে যেমন পরিবারের ভূমিকা রয়েছে,তেমনি সমাজের নানা ধরনের সংগঠনের ভূমিকাও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। সমাজকে প্রত্যাশিত মানে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এই সকল সংগঠনকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করে তোলা প্রয়োজন। দল-মত, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূর করে সমাজকে গতিশীল ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য হিসাবে তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর হতে হবে। সামাজিক সংগঠনের রূপরেখা বিভিন্ন হতে পারে। তবে লক্ষ্য হওয়া চাই একটি। সামাজিক সংগঠনের কাছে প্রতিটি নাগরিকের কিছু প্রাপ্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সমাজের প্রতিটি মানুষের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন। সুতরাং স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের মধ্যেও রুচি, চাহিদা ও নীতিমালার ভিন্নতা থাকা জরুরি। সাধারণত আমাদের সমাজে পরিবেশবাদী, স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক, শিক্ষা ও শরীর চর্চা বিষয়ক নানা সংগঠন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এর বাইরে যৌতুক, মাদক ও নারী নির্যাতন বিরোধী সংগঠনও রয়েছে অসংখ্য। এই সকল সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ থেকে নানা অসংগতি ও অন্যায় কর্ম কমে আসছে অনেকাংশে।

একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের কাছে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা কী হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে কোন সংগঠন কী বলবে সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। বরং কোন সংগঠন আমাদের কী দিতে পারবে সেটিই বড় কথা। আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা,ধর্ম,সংস্কৃতি,কালচার ও আদর্শের আলোকে গড়তে হলে আমাদের বহুমুখী সংগঠনের কোন বিকল্প নেই। যে সংগঠনগুলোর কাজ হতে পারে নতুন প্রজন্মকে বই পড়াতে আগ্রহী করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে বইয়ের প্রতি নতুন প্রজন্মের আসক্তি কমছে প্রচুর পরিমাণে। সে জন্য প্রতিটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। যেখানে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার জন্য সকল ধরনের বইয়ের একটি সমারোহ থাকবে। ধর্মীয়,শিক্ষনীয় গল্প নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি বই পাঠের অভ্যাস হতে পারে সকলের জন্য নতুন সঙ্গী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের মতো গর্হিত এবং অন্যায় কাজ থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শুধু র‌্যালি বা প্রতিবাদ করেই শেষ নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগুলোর কুফল সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে নয়, সাপ্তাহিক বা মাসিক আলোচনা, সভা, সেমিনারের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে সামাজিক অসংগতিগুলো। নৈতিক অবক্ষয় রোধে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কিত নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে। কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের জ্ঞান ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে জ্ঞানমূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। সেই সাথে শরীর-মন সুস্থ রাখতে খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা দরকার।

পূর্বে সচেতন ও মেধাবী যুবকরা পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকত। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়ত। কালের বিবর্তনে দেশের রাজনীতি বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার দরুন মেধাবীরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। নিজেদের মেধা, শ্রম, কর্মদক্ষতা, চিন্তাশক্তি দিয়ে সমাজের পরিবর্তনের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সামাজিক সংগঠনসমূহে আকৃষ্ট হচ্ছে। স্বেচ্ছায় রক্তদান, নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান প্রদান, পথশিশুদের শিক্ষামুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে তরুণদের আইটি প্রশিক্ষণ, খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিনামূল্যে আইনি সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানসহ নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশের বর্তমান মেধাবীরা। সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার জন্য সমমনা যুবকরা একত্র হয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করছে এবং সর্বত্র প্রশংসা কুড়িয়ে আনছে। সমাজসেবার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বা অঞ্চলভিত্তিক গড়ে উঠছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের মনোভাব হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বার্থহীন। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা, ছাড় দেয়ার মানসিকতা, পদের প্রতি লোভহীনতা বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে সৃষ্টি করা উচিত। কখনোই নিজেকে প্রদর্শন করার ইচ্ছে বা নিজ স্বীকৃতি লাভের ইচ্ছে মনের মধ্যে আনয়ন উচিত নয়। যে কোনো সংগঠনের সদস্যদের সবার চিন্তা, লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও আদর্শ যদি এক না হয়, তাহলে সে সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করে সফল হতে পারে না বা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না।স্বেচ্ছাসেবকদের হওয়া উচিত ইটের মতো। একটি দালান বাড়ি করার সময় যেমন কোনো ইটকে গাঁথুনিতে ব্যবহার করা হয়, কোনো ইটকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে ঢালাইতে ব্যবহার করা হয়, কোনোগুলোকে মাটির নিচে বিছিয়ে দেয়া হয়। একইভাবে আগুনে পোড়ার পরও এতে যেমন কোনো ইট প্রতিবাদ করে না, ঠিক তেমনই হওয়া উচিত স্বেচ্ছাসেবকদের। সংগঠনের প্রয়োজনে যাকে যখন যেভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তার ঠিক সেভাবেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাদের উচিত পানির মতো হওয়া; যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারা যায়। হওয়া উচিত শিমুল তুলার মতো; নেতিবাচক মন্তব্য এলেও যেন মন নরম করে হাসিমুখে তা মানিয়ে নেয়া যায়।

পরকালীন জীবনের কথা ভেবে কাজ করলে সামাজিক সংগঠন সমূহে প্রদর্শনেচ্ছা গুণটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। প্রত্যেক ধর্মেই মৃত্যুর পর সকল প্রকার ভালো কাজের প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অনেক পুণ্যবান কাজ। পবিত্র আল কোরআনের সুরা মায়েদার ৩২নং আয়াতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কারও প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন পৃথিবীর সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। মহানবী হজরত মুহম্মদ (স.) নিজেই ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক সমাজসেবা ও সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজিতে উল্লেখ আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে, মহান আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করবেন। আবার বুখারি ও মুসলিম শরিফে আরেকটি হাদিসে বিধবা ও অসহায় সাহায্যকারীকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সবকিছুর পেছনে পরিশুদ্ধ নিয়ত বা সংকল্প প্রয়োজন। বর্তমান হানাহানির পৃথিবীতে স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি পুনরায় ফিরে আসবে। মানবতার জয়গান হবে। আবারও সেই দিন ফিরে আসবে; যেদিন সবাই গাইবে ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এটিই প্রত্যাশা।

বর্তমান সমাজে অনেক সময়ে দেখা যায়, সামাজিকভাবে ভালো মানের কোনো খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম না থাকার কারণে অনেকেই অবসর সময়ে অসৎ সঙ্গ গ্রহণ করে থাকে। সামাজিক সংগঠনের নানামুখী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ছেলে-মেয়েদের এই অসৎ সঙ্গ থেকে ফেরানো দরকার। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রা নিয়ে উদ্যোগ নিতে পারে এ সকল সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ডেঙ্গুসহ যে সমস্ত কারণে আমাদের সমাজ মহামারীতে আক্রান্ত হচ্ছে এ সকল বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলে সমাজকে রক্ষা করার উদ্যোগ সকলের কাম্য। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত রাখতে এ সকল সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দিবসের আলোচনা সভা ও শিক্ষনীয় গল্পের আয়োজন করা একান্ত প্রয়োজন, যাতে করে তারা মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে আমাদের সমাজ শুধুমাত্র সমাজ নয়, এটা একজন মানুষের জন্য বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ তার কর্ম ও রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করে। সুতরাং সমাজে বসবাসকারী সকল নাগরিকের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে সমাজ পরিচালনা করার জন্য আমাদের প্রত্যেকটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কাঠামোগত ও যুগোপযোগী পরিবর্তন সাধন করতে হবে।

মোঃ জয়নুল আবেদীন (সাংবাদিক,কলামিষ্ট ও সামাজিক সংগঠক)

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য
ইসলাম মানবিকতা,উদারতা ও মহানুভবতার ধর্ম
রমজান সংযম শেখায়,নামাজ শেখায় কল্যাণ
উন্নত সমাজ গঠনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই
শেখ হাসিনা সরকার এগিয়ে যাবে রূপকল্প ৪১’র দিকেঃবিরোধী মতের রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রয়োজন
শেখ হাসিনা সরকার এগিয়ে যাবে রূপকল্প ৪১ এর দিকেঃবিরোধী মতের রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রয়োজন

আরও খবর