সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট:বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এ সময়ে নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১০৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৯১ জনে। একই সময়ে ১১জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ জনে। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৫২ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সাত হাজার ২৬৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ২০৮টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০৩৪ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর আগে গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ ৮৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৯১ জনে। আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা সিটি সবার উপরে রয়েছে বলে জানান নাসিমা।
নাসিমা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১ জন। তার মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। এছাড়া একই সময়ে নতুন ২৫২ জন সুস্থসহ মোট ২৯০২ জন সুস্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন, মৃতরা বয়স বিবেচনায় ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন।
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, শনাক্ত হিসেবে আমাদের সুস্থ হওয়ার হার ১৮.৫২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৫৩ শতাংশ।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে এসেছেন ১৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন দুই হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬২। মোট এক হাজার ১৭৬ জন ছাড় পেয়েছেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৮৬০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৩০৩ জন। অপরদিকে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।