সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে হস্তান্তরের বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৮ জুন) ইসির উপসচিব (সংস্থাপন) মোহাম্মদ এনামুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এনআইডির নিয়ন্ত্রণ রাখতে নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা করার লক্ষে ২০০৯-২০১০ সালেও একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। এ লক্ষ্যে একটি সংস্থা কাজ শুরু করলেও পরে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো বলা হয়, ইসি ২০০৭-২০০৮ সালে আদালতের নির্দেশনা এবং আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা পরবর্তীকালে জাতীয় পরিচয়পত্র রূপ নিয়েছে। ভোটার তালিকার জন্য নাগরিকদের সংগৃহীত তথ্য দ্বারা একই জনবল, অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যবহার করে ভোটার তালিকার তথ্য থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করা হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আইনে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভোটার ডাটাবেইজের তথ্য-উপাত্তকেই ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত আলাদা কোনো জনবল না থাকায় এ সকল কার্যক্রম অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের নিকট ন্যস্ত করা হলে মাঠ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিশাল একটি জনবলের প্রয়োজন হবে যা ব্যয় সাপেক্ষ। একই সংগে তারা দক্ষ এবং পারদর্শী হয়ে না উঠলে জাতীয় পরিচয়পত্রের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হবে।
গত ১৭ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসি’র পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ২৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ইসি সচিব ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এসব চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিলো কমিশন।
সময় সংবাদ লাইভ।