সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ এবারও কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। গত সোমবার কিউএস টপ ইউনিভার্সিটিজের ওয়েবসাইটে এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত বছরের এই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। র্যাঙ্কিং ২০২১-এ দেশের ১১ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্য তিনটি পাবলিক ও বাকি আটটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই এশিয়া অঞ্চলের সেরা ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি।
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাবি ১৩৪তম। গত বছরের (২০২০) র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১৩৫তম। সে হিসেবে এবার এক ধাপ উপরে উঠেছে দেশসেরা এই বিদ্যাপীঠ। র্যাঙ্কিংয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে বুয়েট, অবস্থান ১৯৯তম।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ২২৮তম। দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিং ২৭১-২৮০তম। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ৩৫১-৪০০তম।
এর পরের অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। র্যাঙ্কিংটিতে ডিআইইউর অবস্থান ৪০১-৪৫০তম। একই অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও।
এ ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) র্যাঙ্কিংয়ে ৪৫১-৫০০তম, আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৫৫১-৬০০ তম ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৫৫১-৬০০তম স্থান পেয়েছে।
গতবার চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছিল এ র্যাঙ্কিংয়ে। এবার সেটি বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ই বেসরকারি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবার র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
এশিয়ার সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সেরাদের সেরা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। পরপর তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকল। চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল সেরা চারে।
সেরা ১০-এর তালিকায় সিঙ্গাপুরের আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। দেশটির নানইয়াং টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় (এনটিইউ) আছে সেরা তিনে। এরপর সেরা ১০-এর উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইউনিভার্সিটি অব হংকং (এইচকেইউ), হংকং, ঝিজিয়াং ইউনিভার্সিটি, চীন; ফুদান ইউনিভার্সিটি, চীন; পিকিং ইউনিভার্সিটি, চীন; দ্য হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইচকেকিউএসটি), হংকং; ইউনিভার্সিটি মালায়া, মালয়েশিয়া এবং সাংহাই জিও টং ইউনিভার্সিটি, চীন।
গত বছরের তুলনায় এবার চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো করেছে। দেশটির সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে। এশিয়ার সেরা উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের তালিকার সেরা ৫০০-এর মধ্য চীনের ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এ ছাড়া ভারতের ১০৬টি, জাপানের ৯৮টি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৮৫টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং। কিউএস প্রতিবছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার বিচার করেই এ তালিকা করা হয়।