সময় সংবাদ রিপোর্ট : বগুড়ায় কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। তিন মাস আগের এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালাকে। আসামি গ্রেফতার হলেও ধর্ষণের পর ধারণ করা ভিডিওর কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ধর্ষণের আলামত নষ্ট করেছে। ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও চিঠি লিখেছেন ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থী।বগুড়ার ধুনট থানায় গত মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ছোটভাইকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েক দফায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে ভাড়াটিয়া কলেজশিক্ষক মুরাদুজ্জামান মুকুল। এ ঘটনায় ১২ মে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ওই কলেজশিক্ষককে। জব্দ করা হয় মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও। কিন্তু গত আগস্টে হঠাৎ করেই মোবাইলে কোনো ভিডিও পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি কৃপা সিন্ধু বালা।ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি (কলেজশিক্ষক) আমাকে অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে মনে হয় বিচারটা পাব। উনি বিচারটা করুক আমি এটা চাই।’
পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার কৃপা সিন্ধু বালার কাছ থেকে গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। মামলার আলামত মুছে ফেলা হয়েছে কি না, তা জানতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে জব্দ করা মোবাইল পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।জেলা পুলিশ সুপার বলেন, যদি এ ধরনের বিষয় প্রমাণিত হয় অবশ্যই যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।আলামত নষ্টের অভিযোগে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে পাবনা জেলায় বদলি করা হয়েছে। গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেলে কৃপা সিন্ধু বালাকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।