সময় সংবাদ রিপোর্ট: ওমিক্রন রোধে সরকারি নানা নির্দেশনা থাকলেও বেনাপোল বন্দরের রেলপথে যাত্রী যাতায়াত ও পণ্যপরিবহনে নেই কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেল কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছেন যাত্রীরা। স্টেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের স্ক্যানিং বুথ থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম। এতে সংক্রমণ বিস্তারের ঝুঁকি বাড়ছেই।দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩ জন। অথচ দুই সপ্তাহ আগে সংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ হাজারের নিচে। সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ২৫ গুণ।গত বছর সংক্রমণ বেড়ে গেলে এ রুটে রেলে যাত্রী পরিষেবা ও আমদানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সড়কের পাশাপাশি রেলপথে ভারতের সঙ্গে চালু রয়েছে আমদানি বাণিজ্য। প্রতিদিন পণ্যবাহী রেল ঢুকছে বন্দরে। এ ছাড়া এ পথে দেশের অভ্যন্তর রুটে চলছে যাত্রীবাহী একাধিক রেল।বর্তমানে ব্যবসা ও চিকিৎসার কাজে ভারত ভ্রমণে স্টেশনে দেশি, বিদেশি শত শত মানুষের সমাগম হচ্ছে। যাত্রী যাতায়াত ও বাণিজ্য সচল রাখতে সংক্রমণ রোধে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। তবে সড়কপথে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখা গেলেও রেলপথে কোনো ধরনের সুরক্ষা নেই।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত বছর স্টেশনে যাত্রী ও পণ্য বহনকারী রেলের চালক ও তাদের সহকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ করলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে। এতে সংক্রমণ প্রতিরোধব্যবস্থা ঝুঁকিতে রয়েছে।রেলস্টেশনে শত শত মানুষ ভিড় করছেন। ভারতীয়রাও আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত বছরের মতো রেল পরিষেবা বন্ধ হলে আবারও বড় ধরনের ক্ষতি আশঙ্কা সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের।বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, সংক্রমণ রোধে স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা দরকার।
বর্তমানে ঢাকা-বেনাপোল রুটে যাত্রীবাহী বেনাপোল এক্সপ্রেস, খুলনা-বেনাপোল রুটে বেতনা এক্সপ্রেস ও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কার্গো রেলে পণ্য আমদানি হচ্ছে।