সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃসারাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জেও সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন পালিত হচ্ছে। বৈশ্বিক অতিমারী করোনা ভাইরাসজনিত রোগ ( কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধ এবং এ থেকে জনগণ কে সুরক্ষা দিতে আজ ১লা জুলাই থেকে আগামী ১ সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩০ জুন এ ব্যাপারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ১ সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এদিকে উপজেলায় কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে ভোর থেকেই মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। উপজেলার প্রধান বাজার গুলো ক্রেতা শূন্য ফাঁকা পড়ে যায়। বেশিরভাগ দোকানপাট ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,সপিংমল ও হোটেল সমূহ বন্ধ রয়েছে। রাস্তা ঘাট গুলো পথচারী শূন্য ফাঁকা পড়ে আছে। বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যৌক্তিক কারণে কেউ ঘর থেকে বের হলেও তাদের কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রসাশনের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। সকলের মুখে মাস্ক পড়তে দেখা গেছে।সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি সকল অফিস সমূহ বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও ঔষধের গাড়ি ব্যাতিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরবাইক ও গণপরিবহন সহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি সহ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে এবং পুলিশ কে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে মানুষ ও গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
লকডাউনের বিধি নিষেধ লংঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মেজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ),র্যাব ও পুলিশ কে গাড়িতে করে টহল দিতে দেখা গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৩:৩০) উপজেলার সর্বত্র কঠোর ভাবে লকডাউন সফল ভাবে পালিত হবার খবর পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ জনগণ আগের চেয়ে অনেকাংশে বেশি সচেতন হয়েছে। তাঁরা জীবন সুরক্ষায় কঠোর লকডাউন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মেনে নিয়েছে। আশাকরি, আগামী কয়দিন নিজেদের স্বাস্হ্য সুরক্ষায় লকডাউন কার্যকর করতে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিবে।
মোঃ আবদুস সালাম হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক সময় সংবাদ লাইভ।