সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ পরিকল্পনা মতো মাঠে গড়ায়নি আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী আসর। স্থগিত হয়ে গেছে অনেকগুলো টেস্ট। নির্ধারিত ডেড লাইনও কাছাকাছি চলে এসেছে। ফাইনাল হবে আগামী জুনে। এই অবস্থায় কীভাবে ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে? আইসিসি অবশেষে একটি বিকল্পকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। চক্র পূরণে মোট যতগুলো পয়েন্টের জন্য ম্যাচ খেলা হবে, সেসব থেকে অর্জিত পয়েন্টের শতাংশ হিসেব করেই ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করবে আইসিসি। আইসিসির ক্রিকেট কমিটিও এই বিকল্পকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেছে। তবে তা চূড়ান্ত করা হবে আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায়। যেটি শুরু হবে এই সপ্তাহে।অবশ্য আরও একটি বিকল্প নিয়েও আলোচনা করেছিল আইসিসি। সেটি হলো, করোনাকালে যেসব টেস্ট খেলা হয়নি সেগুলোকে ড্র হিসেবে ধরে পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া। কিন্তু ক্রিকেট কমিটি সেই পরিকল্পনাকে শেষ পর্যন্ত বাতিলই করে দিয়েছে। নতুন পরিকল্পনার ফলে যারা ফাইনালের লক্ষ্যে খেলছে, তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এমন নয়। যেমন নিউজিল্যান্ডের বেলায় ভালো সুযোগ আছে শীর্ষ দুইয়ে থাকার। আর সেটি সম্ভব হবে, যদি তারা আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে সর্বোচ্চ ২৪০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারে। সেক্ষেত্রে কিউইরা মোট ৬০০ পয়েন্টের জন্য খেলে অর্জন করতে পারবে ৪২০ পয়েন্ট। যার হার দাঁড়াবে ৭০%। অর্জিত পয়েন্টর শতাংশ হিসেবে টেবিলের এখনকার অবস্থাটি এমন- অস্ট্রেলিয়া ৩টি সিরিজ খেলে ২৯৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। অর্জিত পয়েন্টের হার ৮২.২২ শতাংশ। ভারত আবার ৪টি সিরিজ খেলে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। যেখানে হার ৭৫ শতাংশ। এর পর ৪ সিরিজ খেলা ইংল্যান্ডের অর্জন ২৯২ পয়েন্ট, হার ৬০.৮৩ শতাংশ। ৩ সিরিজ খেলা নিউজিল্যান্ডের অর্জন ১৮০ পয়েন্ট, যার হার ৫০ শতাংশ। ফলে কিউইরা ইংল্যান্ডকে টপকাতে পারবে ঠিকই। কিন্তু পিছিয়ে থাকবে ভারতের চেয়ে। তবে সব কিছু নির্ভর কছে আসন্ন দুই সিরিজের ওপর। একটি হলো ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, আরেকটি ভারত-ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজ নিয়ে দেন-দরবার করছে। সেটি মাঠে গড়ালে পয়েন্ট টেবিলে এর বাড়তি প্রভাব পড়বে।