সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছেড়ে গত শনিবার বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই ৩৭টি দেশ এবং ডব্লিউএইচও একত্রে আবেদন জানাল, কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক, ওষুধ বা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন কিছু আবিষ্কার হলে তা যেন কোনো একটি দেশের কুক্ষিগত হয়ে না থাকে; বরং এর মালিকানা যেন থাকে একসঙ্গে অনেক দেশের হাতে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীনসহ একাধিক দেশে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধের সন্ধানে গবেষণা চলছে। গোটা বিশ্বে এমন গবেষণার সংখ্যা অন্তত ১০০টি। উন্নয়নশীল বা ছোট দেশগুলোর চিন্তা, টিকা আবিষ্কার হলে উন্নত দেশগুলো এটি হাতে পেতে পেশিশক্তি দেখানো শুরু করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার
ডব্লিউএইচও প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়েসুস বলেন, যে কোনো আবিষ্কারে পেটেন্টের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা আগে মাথায় রাখা উচিত।
ডব্লিউএইচওর এমন মন্তব্যের দিনেই করোনার টিকা আবিষ্কার নিয়ে আবারও সুখবর দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছেন, চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের তৈরি করা করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি যে সফল হবে সে সম্পর্কে তারা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। স্কাই নিউজকে দেওয়া বক্তব্যে সিনোভ্যাকের বিজ্ঞানীরা জানান, বর্তমানে তাদের তৈরি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। এটি নিরাপদ কিনা, তা যাচাইয়ে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যে এরই মধ্যে তারা একটি বাণিজ্যিক প্ল্যান্ট তৈরি করছে।
এদিকে এখনো তৈরি না হলেও করোনা ভাইরাসের টিকা বাজারজাতের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে চীন। দেশটির সরকারি সম্পদ তদারকি ও প্রশাসন কমিশন (এসএএসএসি) শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা বাজারে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।