সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ২১২ জনের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত ৭৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন ২ হাজার ২১২ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে ৩৯ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ২৫৪ জন। সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর গত মঙ্গলবারের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর সর্বশেষ এসেছিল গত ২ সেপ্টেম্বর; সেদিন ২ হাজার ৫৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৫২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ আর নারী ৯ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০, ২১ থেকে ৩০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন করে মোট ১০ জন চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৪ জন বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ২৫৪ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮১৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪৪১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৯০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৬৪২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৬৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ২৮৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২২৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৮২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮২ জন খুলনা বিভাগের, ২০৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫৯ জন সিলেট বিভাগের, ২৮৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।