সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃমহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার খুরশীদ আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার সকালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়ন শুরু করব।
আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়েও ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনা টিকা দেওয়া যায় কি না এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড দেখে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে, গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স ৩৫ বছর করা হয়েছিল।
দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। এরপর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।
মোঃনূর আমিন আকন,স্টাফ রির্পোটার সময় সংবাদ লাইভ।