সময় সংবাদ রিপোর্ট:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কারাগারে ঢোকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী পুলিশের একটি কালো এসইউভি গাড়ি। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। আজ নাইকো দুর্নীতি মামলার হাজিরা দিতে কারাগারের ভেতরে বসানো আদালতে তোলা হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
কারা সূত্র জানিয়েছে, তার আদালতে হাজিরা আছে, হাসপাতাল থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে, হাজিরা শেষ হলে তাকে কারাগারে নেয়া হতে পারে। এদিকে, সকাল থেকেই বিএসএমএমইউ এর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। একইভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের আশপাশেও। হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ইতোমধ্যে একটি গাড়িতে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা কর্মকর্তা বলেছেন, আদালতের নির্দেশে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা শেষ। আজ তাকে কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তিনি চাইলে কারাগারে অবস্থিত আদালতে তাকে নেওয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘মামলার তারিখ ধার্য আছে। বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে আনা হচ্ছে। এখানে এন তাকে আদালতের বিষয়টি জানানো হবে। যদি তিনি আদালতে আসতে চান, তাহলে তাকে উপস্থিত করা হবে। না হলে তো জোর করে আনা যাবে না।’ এদিকে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফেরার প্রত্যেকটি সড়ক। পুরান ঢাকা এলাকাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকেই কারাবন্দি রয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন মামলার বিচার শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট গত ৩০ অক্টোবর তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও প্রায় ৩৬-৩৭টি মামলা বিচারাধীন।