সময় সংবাদ রিপোর্ট:জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে আগামীকালের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে ঋণ পরিশোধে খেলাপি হলে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের জন্য এ আইন শিথিল করা হয়েছে। তারা মনোনয়নপত্র জমার দিনেও ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। গতকাল শনিবার ইসি কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ ধারার ১-এর ‘এল’ উপ-ধারা সংশোধন না হওয়ায় কৃষিকাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্রঋণ ব্যতীত কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ বা কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া ১২ ধারা ১-এর ‘এন’ উপ-ধারা সংশোধন না হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। আগামী ১৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর সাত দিন আগে এসব ঋণ ও বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। সে হিসাবে আগামীকালের মধ্যেই প্রার্থীদের ঋণ ও বিল পরিশোধ করতে হবে। তবে কোম্পানির পরিচালক ও ফার্মের অংশীদারদের ক্ষেত্রে এ বিধান শিথিল করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, আরপিওর ১২-এর ‘এম’ উপ-ধারা সংশোধন হওয়ায় কোম্পানির কোনো পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ বা এর কোনো কিস্তি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে পরিশোধে খেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। এমন বৈষম্যের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসির আরপিও সংশোধন কমিটির প্রধান কবিতা খানম বলেন, কোম্পানির প্রধানরা অনেক সময় ব্যস্ত থাকেন। কেউ কেউ ঘন ঘন বিদেশ যান। এ জন্য এ আইন করা হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই।