সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃএকজন নাগরিক সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অপরাধে জড়াতে পারেন । আইনের মাধ্যমে সে অপরাধী হলে তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ আছে।
মানুষের অপরাধ প্রবণতা সামাজিক, জন্মগত নয়
তাই সমাজ তাকে অপরাধী করতে কম ভূমিকা রাখে না। প্রচলিত প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন : পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র সুনাগরিক বা কুনাগরিক গড়ার কারিগর।
একজন নাগরিক শীর্ষ সন্ত্রাসী/ অপরাধ হলে তার শাস্তি ভোগের মধ্যামে সমাজের স্রোতধারায় ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। এখানে সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
‘মানুষের চেয়ে নয় কিছু মহিয়ান’, অপরাধী, চোর গুন্ডা, সন্ত্রাসী, খুনী, বদমাইশ, যতোপ্রকার গালি আছে তা মানুষকে দেয়ার আগে তাকে অনন্ত মানুষ ভাবা দরকার
আপনি যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, পরিমার্যিত, শিক্ষিত, জানা -শোনা হয়ে থাকেন তাহলে কোন মানুষ বা নাগরিককে গালাগাল থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়- কেন না নাগরিককে অপরাধী প্রমাণ করা আইনের কাজ। কোনো নাগরিককের নয়।
ফেসবুক জুড়ে শুধু গালাগাল, এক নাগরিক অন্য নাগরিককে গালাগাল, যাদের খুঁটির জোর একটু বেশি এই অকাজটি তারাই বেশি করেন থাকেন। ফেসবুকে গালাগাল করে কার কি লাভ হয়েছে?
ফেসবুক গালাগাল এই ব্যাধী সমাজের মূর্খ থেকে শুরু করে সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষকে কঠোরভাবে পেয়েছে যা বর্বরতার নামান্তর। এটা সমাজের জন্য ভালো কিছু ভয়ে আনবে না।
এক মতাদর্শের লোকের মৃত্যু বা বিপদে অন্য মতাদর্শের লোকের উল্লাস-ক্ষুদ্রতর মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ
যুক্তিতর্ক, চিন্তাভাবনা ছাড়াই প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে যা ইচ্ছে তাই করা করা আদিমতার লক্ষণ। মানুষ সভ্য বলে দাবি করে অথচ একে অপরের প্রতি বিষোদগার করছে প্রতিনিয়ত।
মানুষ সামাজিকীকরণ, ধর্মের অনুশাসন, আইনের প্রতিশ্রদ্ধা, মানুষের প্রতি মানুষের অসম্মান নতুন প্রজন্মের জন্য বড় অশনিসংকেত।
পরমতসহিষ্ণুতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, আইনের সুরক্ষা, নাগরিক সচেতনতা, সংস্কৃতি লালন, যারযার ধর্মের অনুশাসন চর্চা একান্ত প্রয়োজন।
———–আবদুর রাজ্জাক।
সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।