সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্ট: ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতায় গত এক দশক ধরে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর মধ্যে দুজনের বাইরে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে লুইস সুয়ারেজ জেতেন গোল্ডেন শু। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন উরুগুয়েন এই স্ট্রাইকার।
এরপর আবার সেই মেসি-রোনালদো রাজ। তাদের দাপট এবার গুঁড়িয়ে যেতে পারে। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। জার্মান লিগে ৩৪ ম্যাচের ৩১টিতে খেলে ৩৪ গোল করে শীর্ষে আছেন পোলিস সেনসেশন। কার্যত তার ধারে কাছেও নেই মেসি কিংবা রোনালদো।
কারণ মৌসুমে শুরুর দিকে চোটের কারণে বার্সেলোনার কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি। তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো গোল পাননি ছন্দপতন ও ইনজুরির কারণে। তবে আশার কথা হচ্ছে, মৌসুমের শেষ দিকেই পর্তুগিজ যুবরাজের গোলক্ষুধা বেড়ে যায়। কার্যত ২৫ ম্যাচে লিগে ২৪ গোল গোল করে পাঁচে আছেন রোনালদো। ২৮ ম্যাচে ২২ গোল করা মেসি ছয়ে।
মেসি-রোনালদোর ওপরে আছেন লেভানডফস্কি, আর্লিং হাল্যান্ড, চিরো ইমমোবিলে ও টিমো ওয়ার্নার। শেষ দুজনের গোল ও ম্যাচ সংখ্যা সমান ২৮। লাইপজিগের হয়ে জার্মান লিগে ওয়ার্নার এবং ইতালিয়ান লিগে গোল করে ইমমোবিলে যৌথভাবে দুইয়ে আছেন। দুজনের চেয়ে এক গোল বেশি করেও তিনে আছেন হাল্যান্ড!
কারণ জার্মান লিগে ১৩টি গোল করেছেন তিনি। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দেওয়ার আগে অস্ট্রিয়ান লিগে সালজবুর্গের হয়ে করেছেন ১৬ গোল। কিন্তু ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় পাঁচ লিগে প্রতি গোলের জন্য খেলোয়াড় পান দুই পয়েন্ট। বাইরের অন্য লিগে পয়েন্ট দেড়। তাই ১৩ গোলের জন্য দুই পয়েন্ট করে এবং ১৬ গোলের জন্য দেড় পয়ন্টে করে পেয়েছেন হাল্যান্ড।
অবশ্য বাস্তবতা বলছে এবার লেভার গোল্ডেন শু জেতার সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা যায় ইমমোবিলেকে। ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে আছেন ৩০ বছর বয়সী লাৎসিও স্ট্রাইকার। ২৯ ম্যাচে ২৯ গোল করেছেন তিনি। তার সামনে আছে আরো নয়টি ম্যাচ। সেখানে ছয় গোল করলেই লেভাকে ছাড়িয়ে যাবেন ইমমোবিলে । সেক্ষেত্রে ১৩ বছর পর এই ট্রফি উঠতে পারে কোনো ইতালিয়ানের হাতে।
লাৎসিও তারকার জন্য কাজটা যতটা সহজ ততটাই কঠিন রোনালদোর কাছে। লেভাকে টপকাতে হলে ‘সিআর সেভেন’কে নয় ম্যাচে করতে হবে আরো ১১ গোল। আর মেসির জন্য কাজটা তো প্রায় অসম্ভব। লা লিগায় বাকি পাঁচ ম্যাচে ১৩ গোল করতে হবে বার্সা তারকাকে! এর মধ্যে তিন ম্যাচ আবার প্রতিপক্ষের মাঠে!
সাম্প্রতিককালে অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সার জেতাটাই তো কঠিন হয়ে উঠেছে। সেখানে মেসির গোলের নিশ্চয়তা কম। এই মৌসুমে মেসি অবশ্য সতীর্থদের ১৭টি গোলে অবদান রেখেছেন। কিন্তু সোনালি জুতার লড়াইয়ে অ্যাসিস্টের কোনো মূল্য নেই!
এক নজরে শীর্ষ গোলদাতারা:
১. রবার্ট লেভানডফস্কি (৩৪ ম্যাচে ৩৪ গোল; জার্মান বুন্দেসলিগা)
২. চিরো ইমমোবিলে (২৯ ম্যাচে ২৯ গোল; ম্যাচ বাকি ৯টি; ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ)
৩. টিমো ওয়ার্নার (২৮ ম্যাচে ২৮ গোল; জার্মান বুন্দেসলিগা)
৪. আর্লিং হাল্যান্ড (২৯ ম্যাচে ২৯ গোল; জার্মান বুন্দেসলিগা ও অস্ট্রিয়ান লিগ)
৫. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (২৪ ম্যাচে ২৩ গোল; ম্যাচ বাকি ৯টি; ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ)
৬. লিওনেল মেসি (২৮ ম্যাচে ২২ গোল; ম্যাচ বাকি ৫টি; স্প্যানিশ লা লিগা)