ডেইলি নিউজ রিপোর্ট॥ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সফলতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভিযান চলছে, চলবে। অবৈধ এ ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। ক্যাসিনোতে যারা আসক্ত তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, তোমরা একটা দ্বীপ খুঁজে নাও। আমি সেখানে ব্যবস্থা করে দেব। ভাষানচর অনেক বিশাল দ্বীপ। সেখানে একপাশে রোহিঙ্গারা, অন্যপাশে ক্যাসিনোবাজদের পাঠিয়ে দেব।’
নিউইয়র্ক ও ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন সফলতা ও অভিজ্ঞতা জানাতে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়।
বিদেশ সফর থেকে ফিরে প্রতিবারই সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। প্রতিবারই সম-সাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ক্যাসিনোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা বিষয়ে আপনারা তো কেউ কোনো কিছু কখনো বলেন নাই, এ রকম একটা অনিয়ম হচ্ছে। এত খবর আপনারা রাখছেন। আপনাদের ক্যামেরা এত জায়গায় ঘুরে কেউ এই জায়গায় কেন পৌঁছায় নাই, সেই প্রশ্নে করি তাহলে কোনো উত্তর দিতে পারবেন? বাস্তবতা হলো আমি যখনই জেনেছি তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা সব সময় নিতেই হবে। কিন্তু যারা এখন ক্যাসিনো খেলায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে বা জুয়া খেলায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই আমি বলেছি, একটা দ্বীপ খুঁজে নেও। সেই দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেব। দরকার হলে ভাষানচর অনেক বিশাল দ্বীপ আছে। সেখানে একপাশে রোহিঙ্গা, অন্যপাশে আপনাদের ব্যবস্থা করে দিব। আপনারা সবাই সেখানে চলে যান। আমি বাস্তবতা বলছি। অভ্যাস যখন বদ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাহলে তো আর যাবে না। তাই বারবার খোঁচাখুঁচি না করে একটা জায়গা দিয়ে দিব। ভাষানচরের এক পাশে রোহিঙ্গা, আরেকপাশে তাদের দিয়ে দিব। তারা সেখানে চলে যাক। যারা যারা এ ব্যবসা করতে চান যান, একটা নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স দিয়ে দেব, ট্যাক্স দিতে হবে, তার পর ওইখানে গিয়ে করেন, সেই ব্যবস্থাই করে দিব। আমরা ট্যাক্স পাব, টাকা পাব, উন্নতি করতে পারব। এখন দেখা যাচ্ছে লুকিয়ে এখানে-ওখানে এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া আর কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না।’
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বেশ কয়েক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লি সফর করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।