৩৮.৪৪°সে
সময় সংবাদ রিপোর্ট : লিভার সিরোসিস, হার্টে ব্লকসহ শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গুলশানে বাসভবন ফিরোজা থেকে সন্ধ্যা পৌনে আটটায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ম্যাডামের গাড়িবহরে ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের মেডিক্যাল বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগে থেকেই হাতপাতালের দুটি কেবিন বরাদ্দ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা (ইকো, ইসিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও এক্সরে) করা হয়েছিল। সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর মেডিক্যাল বোর্ড আরও কয়েকটি পরীক্ষার জন্য জরুরিভাবে হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। এর আগে গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার
হৃৎপি-ের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃৎপি-ের রক্তনালিতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় আসে। দেশে করোনা ভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে। কারাগার থেকে বেরিয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখন সেখানেই তিনি থাকছেন।
২০২১ সালে এপ্রিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে ছয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা। নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই সরকারের তরফ থেকে ওই আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
