আলমগীর পারভেজ: মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য পরিবহনে উঠেছেন জয়নুল আবেদীন। পরীক্ষাসহ জরুরি ক্লাস থাকায় ‘সিটিং’ পরিচয়ধারী এই বাসে উঠলেন উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নঈমুল করিম। যাতে করে অতিদ্রুত গন্তব্যে যেতে পারেন। যেখান থেকে উঠেছেন সেখানেই প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছে বাসটি। সিট খালি না থাকায় ভেতর থেকে যাত্রীরা চ্যোঁচামেচি করলেও ড্রাইভার ও হেলপার যেন শুনছেই না। পরের বাসটি আসার পরই বাসটি ধীরগতিতে এগুতে শুরু করে। রাস্তায় তেমন যানজট না থাকলেও আগারগাঁও পার হতেই সোয়া একঘন্টা সময় নেয় বাসটি। কথা হয় মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসিজেদের সামনে থেকে ‘স্বাধীন’ বাসের নিয়মিত যাত্রী আকবর আলীর সাথে। তিনিও একই অভিযোগ করলেন। যাত্রী থাকা সত্ত্বেও বাস ছাড়তে চায়না। একই চিত্র রাজধানীর অধিকাংশ সিটিং বাসের। পুরো বাস সিটিং হলেও পথে পথে যাত্রী উঠা-নামা করাটা এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একইসাথে ভাড়াও নেয়া হয় অতিরিক্ত। এসব নিয়ে হেলপার ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
বাস কোম্পানিগুলো এবং পরিবহন শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারী লোক ঠকানো আচরণের জন্য রাজধানীর সিটিং বাস সার্ভিসগুলোর ওপর অত্যন্ত বিরক্ত সাধারণ মানুষ। চেকিংয়ের নামে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ বাস সার্ভিস তাদের যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। যাত্রী সাধারণও প্রতিদিন ‘চেকিং এবং ওয়েবিলের’ যাত্রী গণনা নামক প্রতারণার স্বীকার হয়। বিরতিহীন সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও কার্যত সব বাসই বিরতি দিয়েই চলে। সিটিংয়ের নামে ‘চিটিং’ প্রবণতার কাছেও জিম্মি যাত্রীরা। সব মিলে গণপরিবহনে নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে।
সূত্র মতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ৫০ শতাংশ যাত্রী বহনে নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। সেই সময় যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়েছিল চালকেরা। এখন করোনার নির্দেশনা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজধানী ঢাকা শহরে সিটিং বাস সার্ভিসের নামে গণপরিবহন মালিকদের ভাড়া নৈরাজ্য থামছেই না। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদাসীন বলে মনে করেন রাজধানীর প্রাত্যহিক গণ-পরিবহন ব্যবহারকারীরা।
যাত্রীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, রাজধানীতে প্রতিদিন চলাচলকারী লাখো মানুষ গণপরিবহনে চরম ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে এই নয়-ছয় যেন এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। নগরীর কোনো গণপরিবহনই সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে না। বেশিরভাগ পরিবহনই ‘সিটিং’, ‘স্পেশাল সিটিং’, ‘গেটলক’- এমন হরেক নাম ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছামতো চেকিং সিস্টেম ওয়েবিল ব্যবস্থাপনা বানিয়ে এই ভাড়া নৈরাজ্য জায়েজ করছে। যেসব বাস এই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে, সেগুলোর মানও কিন্তু লোকাল বাসের থেকে খুব একটা উন্নত না। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া, ফ্যান থাকলেও নষ্ট, পরিবহন শ্রমিকদের অপেশাদার আচরণ, বেপরোয়া গতি এবং যখন-তখন যেখানে খুশি দাঁড়িয়ে থাকার মতো নানা বিড়ম্বনা ও অসন্তুষ্টি নিয়েই এসব বাসে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। তারা বলছেন, অভিযোগের কথা বলতে বলতে তাদের মুখ ব্যথা হয়ে যায়, কিন্তু দেখার কেউ নেই। নগরীতে চলাচলকারী বাসের শুধু একটি স্টিকার সাঁটানো থাকে, যা হচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। ভাড়া সংক্রান্ত যাত্রী হয়রানির বিষয়ে এই জরুরি সেবায় ফোন দেওয়া যাবে কি-না, সে বিষয়ে নেই কোনো নির্দেশনা।
ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানির বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, আমরাও ভাড়া নৈরাজ্য ও হয়রানির অভিযোগ পাই। কিন্তু নানা কারণে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়না। এদের সাথে রাজনৈতিক শক্তিও জড়িত। কোনো আইনী ব্যবস্থা নিলেই নানা ধরণের হয়রানির শিকার হতে হয়। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাড়তি ভাড়া আদায় ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে সেটি আরও বাড়ানো দরকার।
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী- বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সিটিং বাসে বাঁদুড়ঝোলা করেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, অন্যদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, তথা এসব সিটিং গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাত্রী বহনের কারণে যাত্রী, চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে প্রায়শ বচসা, হাতাহাতি-মারামারির ঘটনাও ঘটছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন, মালিক ও শ্রমিক সংগঠন, বি আরটিএ বা পুলিশ, কারও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে এক সময় এই নৈরাজ্যর কাছে যাত্রীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সরকার বাস-মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণে ২১টি বিষয় বিবেচনায় আনে। এসব বিষয়ের মধ্যে গাড়ির মূল্যসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণের মূল্য ও মুনাফা ধরা হয় মালিকদের মর্জি মতো। কেননা বিগত সময়গুলোতে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মালিক-শ্রমিক-সরকার মিলেমিশে। এখানে যাত্রী প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যাত্রীদের মতামত বা বার্গেইনিংয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক ক্রেতা ভোক্তা অধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বড় বাসে প্রতি যাত্রীর ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেই নিয়মে বছরখানেক চলতে থাকে। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই পরিবহনগুলো গাড়িতে ‘সিটিং সার্ভিস’ নাম ব্যবহার করে বাড়তি ভাড়া আদায় শুরু করে। হুট করেই দেখা যায় প্রায় সব বাসই সেবার মান না বাড়িয়ে শুধু স্টিকার বা রঙ লাগিয়ে যখন তখন সিটিং হয়ে যায়। যাত্রীদের এই হয়রানি বন্ধে ২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বি আরটিএ), পরিবহন মালিক সমিতি ও পুলিশ অভিযান শুরু করে। এরপর সিটিং সার্ভিস পুনরায় চালু করে এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে বিআরটিএ, মালিক-শ্রমিক সংগঠন, নাগরিক প্রতিনিধি ও পুলিশের সমন্বয়ে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ২৬ দফা সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন ২০১৭ সালের নভেম্বরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। কিন্তু গত ৪ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সেই ২৬ সুপারিশ।
জানা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেট থেকে শাহবাগের দূরত্ব ৩.৫ কিলোমিটার। ১ টাকা ৭০ পয়সা কিলোমিটার হারে এ পথটুকুর জন্য ভাড়া দাঁড়ায় ৫ টাকা ৯৫ পয়সা। সেই অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া হয় ৭ টাকা। কিন্তু রাজধানীতে এই রুটে চলাচলকারী বেশিরভাগ বাসেই সর্বনিম্ন ১০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। আবার শাহবাগ থেকে মহাখালী পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী ১২ টাকা ৪১ পয়সা দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই রুটে চলাচলকারী এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরবিহন ও দেওয়ান পরিবহনসহ সব বাসই উল্লিখিত পথটুকুর জন্য ২০ টাকা ভাড়া আদায় করে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পিয়ন পদে চাকরি করেন মোজাম্মেল। সপ্তাহের ছয়দিনই রাজধানীর নাবিস্কো বাসস্ট্যান্ড থেকে গণপরিবহনে চড়ে যেতে হয় করাইলে। তার এই পথের দূরত্ব সাড়ে চার কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত নিয়মে রাজধানীতে চলাচল করা বড় বাসের প্রতি যাত্রীর ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা। সে হিসাবে গোলাম মোস্তফার ওই পথটুকু যেতে ভাড়া বাবদ খরচ হওয়ার কথা ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। কিন্তু তাকে ভাড়া হিসেবে গুনতে হয় ২০ টাকা। প্রতি যাত্রায় তার বাড়তি ১২ টাকা ৩৫ পয়সা খরচ হয়, যা প্রকৃত ভাড়ার প্রায় তিন গুণ। এই রুটে চলাচলকারী মনজিল, আল মক্কা, আজমেরী গ্লোরী সিটিং সার্ভিস, গাজীপুর পরিবহন লিমিটেড সিটিং সার্ভিস, গুলিস্তান গাজীপুর, প্রভাতী বনশ্রী স্পেশাল সার্ভিসসহ প্রতিটি বাসই নাবিস্কো বাসস্ট্যান্ড থেকে করাইল যেতে ২০ টাকা ভাড়া আদায় করে। এভাবে শুধু হায়দার একাই নন, রাজধানীতে প্রতিদিন চলাচলকারী লাখো মানুষ গণপরিবহনে চরম ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে এই নয়ছয় যেন এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। নগরীর কোনো গণপরিবহনই সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে না। বেশিরভাগ পরিবহনই ‘সিটিং’ ‘স্পেশাল সিটিং’ ‘গেটলক’-এমন হরেক নাম ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছামতো চেকিং সিস্টেম ওয়েবিল ব্যবস্থাপনা বানিয়ে এই ভাড়া নৈরাজ্য জায়েজ করছে।
শ্যামলী থেকে শাহবাগ, এই যাত্রাপথের দূরুত্ব ৬.৪ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত হারে এই পথটুকুর জন্য তার ভাড়া দেওয়ার কথা ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। কিন্তু দিশারী পরিবহনে তার কাছ থেকে রাখা হয় ২০ টাকা, যা প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা হলেও বেশিরভাগ বাসেই সর্বনিম্ন ভাড়া কমপক্ষে ১০ টাকা নিতে দেখা যায়। বিএএফ শাহীন কলেজ বাসস্ট্যান্ড থেকে আগারগাঁও আইডিবি পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার রাস্তা। সরকার নির্ধারিত ভাড়া দাঁড়ায় ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। কিন্তু ওই রুটে চলাচলকারী বৈশাখী, ভুঁইয়া ও আলিফ পরিবহন ওই পথটুকুর জন্য ভাড়া আদায় করে ২০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণেরও বেশি। যেসব বাস এই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে সেগুলোর মানও কিন্তু লোকাল বাসের থেকে খুব একটা উন্নত না।
শাহীন কলেজ বাসস্ট্যান্ড থেকে কলাবাগানের দূরত্ব ৪.৬ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া হওয়ার কথা ৭ টাকা ৬৩ পয়সা। তবে এই রুটে চলাচলকারী বিকাশ পরিবহন ওই পথটুকুর জন্য ভাড়া আদায় করে ২৫ টাকা। ফার্মগেট থেকে আসাদগেটের দূরত্ব ১.৯ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া হওয়ার কথা ৩ টাকা ২৩ পয়সা। তবে লাব্বাইক ও আয়াত পরিবহনের যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্সল্যাবের দূরত্ব ৫.২ কিলোমিটার, যার সরকার নির্ধারিত ভাড়া হওয়ার কথা ৬ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু এই রুটে রজনীগন্ধা, সিটি লিংক, মিডলাইন ও মালঞ্চ পরিবহনের যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হয় ১০ টাকা। যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগের দূরত্ব ৬.৮ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া হওয়ার কথা ১১ টাকা ৫৬ পয়সা। তবে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে ট্রান্স সিলভা পরিবহন, যা ৮ টাকা ২৪ পয়সা বেশি। গাবতলী থেকে ফার্মগেটের দূরত্ব ৬.১ কিলোমিটার। সরকার নির্ধারিত ভাড়া হওয়ার কথা ১০ টাকা ৩৭ পয়সা। কিন্তু এই রুটে চলাচলকারী লাব্বাইক ও আয়াত পরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয় পরিবহনভেদে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা, যা ৪ টাকা ৬৩ পয়সা বেশি।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, নগরীতে চলাচলরত ৯৬ শতাংশ বাস, মিনিবাস ভাড়া নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত। তাতে বলা হয়েছে, সিটিং সার্ভিস নামে কোনো কিছু সড়ক পরিবহন নীতিমালা বা বিধিমালার কোথাও কিন্তু নেই। যে বিদ্যমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেটাই কিন্তু সিটিং সার্ভিস। আবার সিটিংয়ের কথা বলে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
যাত্রীদের তোলা অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডরেশনের সভাপতি শাহজাহান খান সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কোথায় এমন হচ্ছে?’ পরে তিনি আবার বলেন, এইগুলো কমপ্লেইন করতে হয়। লিখিত কমপ্লেইন দেন।
মিরপুর থেকে মতিঝিল নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন এমন একজন যাত্রী বলেন, কিলোমিটার হিসাবে ফার্মগেট থেকে মিরপুর কাজীপাড়ার ভাড়া হয় ৯ টাকা। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা ১০ টাকা দিলেও কন্ডাক্টর মানে না। তার এক কথা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া যেখানেই নামেন ভাড়া ১৫ টাকাই। ওই যাত্রীর প্রশ্ন তাহলে কিলোমিটার হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করে কি লাভ হলো? কোনো যাত্রীই তো কিলোমিটার হিসাবে ভাড়া দিতে পারছেন না। কয়েকজন ভুক্তভোগি যাত্রী বলেন, যুগ যুগ ধরে চলে আসা অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমাদের কথা বলার মতো কোনো জায়গা নেই।