*সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃ সোমবার থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৩৬৫ জন। খবর: আল জাজিরার।
এছাড়া হামাসের হামলায় অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার রকেট হামলা চালিয়েছে গাজা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ লড শহরে অবস্থিত আল-নূর মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এই শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল সরকার।
এদিকে বিমান হামলা চালিয়ে গাজার একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নগরীর ১৪ তলা বিশিষ্ট শরওক টাওয়ারে বেশ কয়েকটি মিডিয়া অফিস ছিল।
অপরদিকে, গাজা উপত্যকায় এই হামলা-আক্রমণ বন্ধের আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা অব্যাহত রাখবে এবং দীর্ঘমেয়াদে পূর্ণ নীরবতা নিয়ে আসবে।
গত ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে গাজা উপত্যকায় সিরিজ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। হামলার প্রথম দিনে তিন শিশুসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়। দ্বিতীয় দিনে তা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং শেখ জাররাহ এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়।
পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র রাত শবে কদরেও আল-আকসায় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ করে আসছেন। এর মধ্যেই গত সোমবার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস ইসরায়েলে দিকে রকেট হামলা চালায়। তারপর থেকে অব্যাহত বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।