সময় সংবাদ রিপোর্ট: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পুলিশ প্লাজার সামনে ডা. ফজলে রাব্বী পার্ক খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গুলশান, নিকেতন, বাড্ডা এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকালে ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব বলেন। পার্কে প্রাতঃভ্রমণকারীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনটি প্রথমে পুলিশ প্লাজার সামনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে আয়োজন করা হয়। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশি বাধায় পরে পার্কের ১ নং গেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ফজলে সানি, নুরুল হাসান মিয়া, মনোয়ার হোসেন, মোতাহার হোসেন, মহিউদ্দিন, মিয়া হানিফ, সাব্বির, জাহিদ হোসেন, সেলিমা সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, পার্কের উন্নয়নের নামে দুই বছরের বেশি সময় পার্কটি বন্ধ রয়েছে। এতে তারা শারীরিক সুস্থতার জন্য সকালের ব্যায়াম কিংবা হাটাহাটি করতে পারছেন না। করোনাকালীন সময়ে যেখানে শারীরিক সুস্থতা অপরিহার্য সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি বন্ধ রয়েছে। অনেক ডায়াবেটিক রোগি নিয়মমাফিক হাটাহাটি করতে পারছেন না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও পার্ক উন্নয়নের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। অবিলম্বে পার্কটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক সংস্কারে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। কাজ শেষ করার কথা এ বছরের এপ্রিলে। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় ছয় মাস বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ।
পার্কটির সংস্কারকাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। কাজটি করছে এম আর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এ ছাড়া যে পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। এসব কারণে সংস্কারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দাবি, সার্ভিস ব্লকের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ। দুটি ফটক নির্মাণের কাজের অগ্রগতিও প্রায় ৮০ ভাগ। যদিও নকশাসংক্রান্ত জটিলতায় পরিকল্পনায় থাকা অন্য একটি ফটকের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। আর হাঁটার পথের কাজের অগ্রগতিও ২০ ভাগের মতো। কাজ বিলম্বের কারণ নকশা পরিবর্তন।
ডিএনসিসির পরিবেশ সার্কেলের প্রকৌশলীরা বলছেন, পার্কের চারপাশের সীমানাদেয়াল হবে স্বচ্ছ কাচের। উচ্চতা ১৫ ফুট। কাচের দেয়ালের কারণে সরাসরি বাতাস চলাচল করবে না। তা ছাড়া রাস্তার যানবাহন থেকে সৃষ্ট উচ্চ শব্দ কমাবে এই কাচ। তবে কাচের দেয়াল যেহেতু উঁচু হবে, তাই পাখির চলাচলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, এ কারণে কাচে সমান্তরাল অস্বচ্ছ রেখা বা বার্ড স্ট্রিপ থাকবে।
এছাড়া পার্কে শরীরচর্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকবে। যেখানে ব্যায়াম করার কিছু উপকরণ দেওয়া থাকবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে পার্কটিতে। কিছু পানি নিষ্কাশিত হবে, কিছু পানি নালার মাধ্যমে জলাশয়ে গিয়ে জমবে। এ ছাড়া সার্ভিস ব্লকের ছাদ থেকে সামনের দিকে ঢালু হয়ে কৃত্রিম টিলা থাকছে। টিলায় সবুজ তৃণভূমি থাকবে।