সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃবর্তমান রাজধানীতে ফ্রিতে কিছুই পাওয়া যায় না।এখানে যেন প্রতি মুহুর্তই বেচে থাকার প্রতিযোগিতা। কেউ রাখে না কারো খবর কেউ বোঝে না কারো দুঃখ।
করোনা পরিস্থিতি সবার জন্যই কিছু না কিছু ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিছু শিক্ষার্থী যারা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে।অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য টিউশন পেশার সাথে যুক্ত।
আর এই টিউশন পেতে হলেও বর্তমানে দিতে হয় মিডিয়া ফি।বলা হয়ে থাকে টিউশন কনফার্ম হলে
বেতনের ৫০% মিডিয়া ফি দিতে হবে।
তবে মানবতা যে এখনো হারিয়ে যায় নি তারই প্রমান দিয়ে যাচ্ছে কিছু তরুন শিক্ষার্থী। তৈরি করেছে কমিশন মুক্ত টিউশন(CFT)নামের এক বিশাল প্লাটফর্ম।তাজুল ইসলাম নামের ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীর হাত ধরেই শুরু হয়েছিলো CFT।ঢাকার বিভিন্ন স্থান ভিত্তিক ফেসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে ভাগ করে নেয়া হয়ছে এরিয়া।এখান থেকে সম্পুর্ন ফ্রিতে টিউশন পাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা।
সংকটময় সময়ে টিউশন পেয়ে বেশ ভালোই আছে অনেক শিক্ষার্থী যারা কিছু দিন আগেও ডিপ্রেশনে ছিলো টিউশন হারিয়ে।
এ মাসে ৩৫ টিরও বেশি টিউশন পেয়েছে CFT এর মাধ্যমে।উল্লেখ যোগ্য কিছু টিউশন তুলে ধরা৷ হলো।
১/ সুমাইয়া আকতার আয়েশা (লোকেশনঃ রায়েরবাগ
ইন্সটিটিউটঃন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
টিউশন স্যালারিঃ ৩কে)
২/ ফারদিন খান (লোকেশন: বনশ্রী
ইন্সটিটিউটঃ শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের
টিউশন স্যালারিঃ ৫কে)
৩/ শাহরিয়ার আহমেদ (লোকেশনঃ চিটাগং রোড
ইন্সটিটিউটঃ ঢাবির ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট
টিউশন স্যালারিঃ ৯কে)
৪/ শাহরিয়ার আহমেদ (লোকেশনঃ চিটাগং রোড
ইন্সটিটিউটঃ ঢাবির ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট
টিউশন স্যালারিঃ ৮কে)
৫/ শাহরিয়ার আহমেদ (লোকেশনঃ চিটাগং রোড
ইন্সটিটিউটঃ ঢাবির ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট
টিউশন স্যালারিঃ ৪.৫কে)
৬/ সাকিব মোহাম্মদ (লোকেশনঃ ফজলে রাব্বি হল
ইন্সটিটিউটঃ ঢাকা মেডিকেল
টিউশন স্যালারিঃ ৮কে)
৭/ ইসমাইল হোসেন আরমান (লোকেশনঃ রামপুরা
ইন্সটিটিউটঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
স্যালারিঃ ৪.৫কে)
৮/ জুবাইদা গুলশান আরা রুপালি (লোকেশনঃ খিলগাঁও
ইন্সটিটিউটঃ UITS
স্যালারিঃ ৩কে)
৯/ চামেলি বৈরাগী (লোকেশনঃ ধোলাইখাল
ইন্সটিটিউটঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্মানীঃ ৩কে)
১০/ আব্দুর রহমান রিয়াদ ( লোকেশনঃ ধোলাইখাল
ইন্সটিটিউটঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্মানীঃ ৬কে)
১১/ ফয়সাল আহমেদ (লোকেশনঃ রামপুরা
ইন্সটিটিউটঃ এসিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি
সম্মানীঃ ৫কে)
১২/ মিনহাজুল ইসলাম সাকিব (লোকেশনঃ যাত্রাবাড়ী
ইন্সটিটিউটঃ জগন্নাথ
সম্মানীঃ ৩কে)
১৩/ আসিকুল ইসলাম (লোকেশনঃ রামপুরা
ইন্সটিটিউটঃ ঢাকা কলেজ
সম্মানীঃ ২.৫কে)
১৪/ হাসান সৌরভ (লোকেশনঃ উওরা
ইন্সটিটিউটঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি
সম্মানীঃ ৭কে)
১৫/ ফয়সাল আমিন (লোকেশনঃ মধুবাগ
ইন্সটিটিউটঃ আহসানুল ইউনিভার্সিটি
সম্মানীঃ ৬কে)
১৬/ জুবায়ের হাসান (লোকেশনঃ মুগদা
ইন্সটিটিউটঃ ঢাকা কলেজ
সম্মানীঃ ৪কে)
১৭/ সাথি বালা (লোকেশনঃ লক্ষিবাজার
ইন্সটিটিউটঃ জগন্নাথ
সম্মানীঃ ৪কে)
১৮/ আশিক ইনতেশার (লোকেশনঃ বিজয় ৭১ হল
ইন্সটিটিউটঃ ঢাবি
সম্মানীঃ ৩কে)
১৯/ সামিন শাহরিয়ার (লোকেশনঃ রামপুরা
ইন্সটিটিউটঃ এসিয়া প্যাসিফিক ভার্সিটি
সম্মানীঃ ৭কে)
২০/ রাফসুন জানি (লোকেশনঃ খিলগাও
ইন্সটিটিউটঃ ডেফোডিল ইন্সটিটিউট অফ টেকনলোজি
সম্মানীঃ ৬কে)
এই সংকটময় সময়ে টিউশন পেয়ে নিজের অনুভুতি জানালেন চামেলি বৈরাগী নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।তার অনুভুতি তুলে ধরা হলোঃ
“আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে দীর্ঘ সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল না থাকা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম থাকার কারনে আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিপাকে পড়তে হয়। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় অর্থনৈতিক সমস্যা টা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এই অসময়ে আমাকে টিউশনি পেতে সাহায্য করে সিএফটি (Comission free tuition) গ্রুপটি। এখন সব সমস্যা কাটিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি। নিজে উপার্জন করতে কার না ভালো লাগে! হোক সেটা সামান্য। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সিএফটি( Comission free tuition) এর টিম ও সকল সদস্যদের প্রতি।”
আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল,সময় সংবাদ লাইভ।