সময় সংবাদ রিপোর্টঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১১৯তম ও ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সনদপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারের বাণী যাতে নিভৃতে না কাঁদে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায়বিচার যেন নিশ্চিত হয়।’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার জীবনের স্বপ্ন। এই অল্প কথার মাধ্যমে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি কী কারণে সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি প্রদেশ ছিল বাংলাদেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও সকল সুবিধা থেকে ছিল বঞ্চিত। স্বাধীনতার পর তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন। যেখানে একটি টাকাও রিজার্ভ মানি ছিল না। কোনো খাদ্য ছিল না।’তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে, জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করতে হবে।’
এ সময় দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে মাঠ প্রশাসন মূল চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। বিসিএস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবসময় এটা মাথায় রাখতে হবে এই দেশ আমাদের। এই মাটি আমাদের। এই মানুষ আমাদের। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা তাদের জন্য একটা সুন্দর জীবন দেওয়াই হচ্ছে লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণে আসলে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে এই মাঠ প্রশাসন। কাজেই আপনারা আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সেভাবে পালন করবেন। এটাই আমি চাই। ’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি অনেকেই এই করোনাকালীন মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের প্রশাসনের সবাই এই যে টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সবাই কাজ করে যাচ্ছেন এবং টিকা দিয়ে যাচ্ছেন। এত সুন্দরভাবে টিকাদান কর্মসূচিগুলো চলছে সেজন্য সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
করোনার টিকাদানে পৃথিবীর অনেক দেশে সমস্যা সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি টিকাদানে আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই এবং আমার নিজের দলের নেতাকর্মী তাদেরকেও শৃঙ্খলা রক্ষা করে যেন মানুষ টিকা পায় সেজন্য নির্দেশ দিয়েছি। সবাই কাজ করায় এখানে আমরা একটা বিরাট সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। ’‘বাংলাদেশের কোনো মানুষই বঞ্চিত হবে না। সবাই যাতে টিকা পায় সেই ব্যবস্থা আমরা করব’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।