সময় সংবাদ লাইভ রিপোর্টঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনায় জাতীয় সংসদে অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু জাতীয় নেতা নন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। তিনি সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন।’ বাঙালি জাতি কোনো দিন বঙ্গবন্ধুকে ভুলবে না। আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সরকারি দল আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, শাহাজান খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মীর্জা আজম ও নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো: ফখরুল ইমাম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন।’ ‘জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই ‘জাতির পিতা, এই জাতি কোনো দিন আপনাকে ভুলবে না’। ‘আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, আমার মনে আছে, ১৯৬৬ সনে আমি যখন কারাগারে আমাকে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মোনায়েম খান আমাকে ডিভিশন দিলেন। আমার বাবা তখন স্পিকার। আমি তখন ডাকসুর ভিপি। মাত্র লেখাপড়া শেষ হয়েছে। সেই শীতের রাতে ঘটি-বাটি কম্বল জেলখানার সম্বল। প্রচণ্ড শীতে দেখলাম চাল চলে এসেছে, ডিম চলে এসেছে। কে পাঠিয়েছে? আমাদের উল্টো দিকের দেওয়ারিতে বঙ্গবন্ধু পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা ও যুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যার জন্য ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কারণ হত্যাকারীরা জানত বঙ্গবন্ধুর রক্ত যদি ছিটেফোঁটাও বেঁচে থাকে তাহলে বাঙালি জাতি আবারো তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হবে। বাস্তবে সেটিই হয়েছে।