এমন দিন বাংলাদেশের খুব কমই আসে। লিটন-তামিম জিম্বাবুয়ে বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে ওপেনিংয়ে নেমে দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তামিমের ব্যাট দিয়ে এসেছে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি, আর লিটনের তৃতীয় সেঞ্চুরি। দুজনে গড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিতে। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ।
যে কোনো জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
লিটন ফিরেছেন তবে গড়েছেন তামিমের সাথে বাংলাদেশের হয়ে যেকোন জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। দুজনে মিলে ৪০.৫ ওভারে তুলেন ২৯২ যা সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটেরই ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২২৪ রানের জুটি ছিলো সর্বোচ্চ।
রেকর্ড গড়ে সাজঘরে লিটন
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই তামিমের ২০০৯ সালে খেলা খেলা ১৫৪ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ভাঙতে পারতেন লিটন কুমার দাস। ১২৬ রান করে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ে মাঠ ছাড়ায় সেদিন না পারলেও পরের ম্যাচে তামিম নিজেই ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে নিজের প্রায় ১১ বছর আগের রেকর্ড নতুন করে লেখান। তামিমের রেকর্ড টিকলোনা দুইদিনের বেশি।
৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভাঙেন তামিমের ১৫৮ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। কিন্তু ওখানেই থামেননি লিটন যেভাবে খেলছিলেন করে ফেলতে পারতেন প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও। কিন্তু ৪১ তম ওভারের পঞ্চম বলে কার্ল মুম্বাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়লে থামতে হয় ১৪৩ বলে ১৬ চার ৮ ছক্কায় ক্করা ১৭৬ রানে।
তামিমের ১৩তম সেঞ্চুরি
৯৮ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের এটি ১৩তম সেঞ্চুরি। চারটি ছয় ও পাঁচটি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি ওপেনার। ১০৯ বলে ১২৮ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তামিম।