সময় সংবাদ রিপোর্ট : ঝালকাঠির নলছিটিতে গণধর্ষণ মামলার ৪ আসামিকে আটক করেছে নলছিটি থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায় বাদী মোসাঃ রিফার সাথে ঢাকায় পাশাপাশি বসবাস করার সুবাদে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ২৬ আগস্ট আসামী শাহিদা বেগম তাকে তার স্বামীর বাড়ি নলছিটি উপজেলার শেখারকাঠী গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে আসার পর শাহিদা বেগম (৪৫) ও ৫ নম্বর আসামী মোসাঃ আসমা বেগম (৪২) ২৯ আগষ্ট বিকাল ৫টার দিকে আসামী বোয়ালিয়া বাজারের পোনামাছ বিক্রেতা মোঃ মোজাফ্ফর শিকদার রাঙা (৪৮) ,পিতাঃ মোতালেব শিকদার,লাকুটিয়া, দিঘলিয়া, খুলনা; মোঃ আরিফ হোসেন (৩০) পিতাঃ মতিউর রহমান(মতি মুন্সি) তবিরকাঠী (কাঠেরপোল), বাকেরগঞ্জ, বরিশাল এবং মোঃ রাসেল হাওলাদার (৩৫),পিতাঃ বেলাল হাওলাদার, শেখরকাঠী,নলছিটি, ঝালকাঠিকে বাসায় এনে তাদের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বলে এবং অর্থের প্রলোভন সহ নানান ভাবে ফুসলায়।
এক পর্যায়ে চার ও পাচ নম্বর আসামীর সহযোগিতায় তাদের ঘরের মাঝ খানের শয়ন কক্ষের চৌকির উপর ফেলে এক থেকে তিন নম্বর আসামী বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে একাধিক বার ধর্ষণ করে। পরে চার ও পাচ নম্বর আসামী ওইদিন রাতেই তাকে গোসলসহ জামা-কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলে। সূত্র আরো জানায় বাদী পরের দিন ৩০ আগষ্ট দুপুরে কৌশলে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি থানায় নিয়ে আসেন।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মদ আতাউর রহমান জানান গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। মামলা নম্বর -৯,তারিখ ৩০ আগস্ট। মামলা দায়ের করার পর পরই নলছিটি থাানা পুলিশ আসামীদেের ধরতে মাঠে নামে এবং রাত সারে এগারোটা থেকে পৌনে বারোটার মধ্যেই চারজন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হই। অন্য আসামীকেও আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আটকদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোঃ সোহেল মাহমুদ, নলছিটি প্রতিনিধি ,সময় সংবাদ live