মিরপুরে ব্যাটসম্যানদের ‘মৃত্যুকূপে’ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন মহাবিপদে তখন হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে বাইশগজ ছাড়েন। এরপর ওই সিরিজে যখন বাংলাদেশ একের পর এক ম্যাচ জিতছিল তখন ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’র ওয়েবসাইটে চলছিল আফিফ বন্দনা। এই টাইগার তারকাকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশের ‘ডেঞ্জারম্যান’!
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও শেষ ম্যাচে ৩৩ বলে খেলেছিলেন অপরাজিত ৪৯ রান। যদিও ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যায়। অবশ্য এখানে আফিফের করারও কিছু ছিল না। যখন ব্যাট হাতে বাইশগজে নামেন তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে দল। তবে আফিফের ইনিংসটি আশার আলো দেখিয়েছে। কারণ, জিম্বাবুয়ে-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ তিনটি ছিল এক অর্থে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সিরিজ! এই তিন সিরিজেই নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছেন আফিফ। নিজেকে ‘ডেঞ্জারম্যান’ হিসেবে চেনাতে সমর্থ হয়েছেন। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে টাইগাররা পেয়ে গেছে এক ‘পারফেক্ট ফিনিশার’, এক ডেঞ্জারম্যান।
বাংলাদেশের টি-২০ বড় অভাব ছিল একজন পিঞ্চহিটারের, সেই অভাবটা পূরণ করে দিয়েছেন আফিফ হোসেন। তার মতো ক্রিকেটাররা দলে আছেন বলেই, টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য রাখে।এখন দেখা যাক, এই ‘ডেঞ্জারম্যান’ বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশকে ‘বিশেষ কিছু’ উপহার দিতে পারেন কিনা!
এম/পি…..