সময় সংবাদ রিপোর্ট : জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশেষ করে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ টু-এর সমীকরণ এখন বেশ জটিল। গতকাল সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত হেরে যাওয়ায় এই গ্রুপের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডস ছাড়া প্রায় সব দলকেই সেমিফাইনালে উঠতে যেমন চাপে রেখেছে, তেমনি সম্ভাবনাও টিকে রয়েছে।
এই গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস।
বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। যেখানে শেষ দুই ম্যাচে সাকিব আল হাসানদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত ও পাকিস্তান। এই দুই ম্যাচ জিতলে অনায়াসে সেমিতে উঠবে টাইগাররা। তবে একটি ম্যাচ জিতেও দলটির সামনে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা আছে। ভারতের কাছে পরের ম্যাচে হারলে অবশ্য প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে সেমিফাইনালে ওঠা।
ভারত ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে। রোহিত শর্মাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। শেষ চারের ভাগ্য নিজেদের হাতেই আছে ভারতের। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই, একটি ম্যাচ জিতেও শেষ চারে যেতে পারে দলটি। বাংলাদেশ কিংবা জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলে অবশ্য অনেক যদি-কিন্তুর মধ্যে পড়বে ভারতীয়রা।
পাকিস্তান ৩ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ। সেমিফাইনালে ওঠতে হলে তাদের নিজেদের সব জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকেও।
এই গ্রুপে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে তারা এমনিতেই সেমিতে উঠবে। একটি ম্যাচ জিতেও শেষ চারে উঠতে পারে প্রোটিয়ারা। ২ নভেম্বর ডাচরা জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দিলে পরের দিন পাকিস্তানকে হারালেই দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। পাকিস্তানের কাছে হারলেও শেষ ম্যাচে ডাচদের হারিয়ে শেষ চার যেতে পারে টেম্বা বাভুমার দল।
জিম্বাবুয়ে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। যেখানে শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও ভারত। দলটিকে শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলের ওপর। ভারত ও নেদারল্যান্ডসকে হারালেও সিকান্দার রাজাদের প্রার্থনা করতে হবে বাংলাদেশ যেন শেষ দুই ম্যাচেই জয় না পায়। বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচ জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকারও অমঙ্গল চাইতে হবে।